যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ২৬১ জন পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তথ্য অনুসন্ধান কমিটি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৬১ জন অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান, জেনারেল আবদুল হামিদ খান, লে. জেনারেল পীরজাদা, লে. জেননারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি, লে. জেনারেল টিক্কা খানসহ ৪৩ জন সিনিয়র পাকিস্তানি জেনারেল, মেজর জেনারেল, বিগ্রেডিয়ার, লে. কর্নেল এবং বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও আছেন।
সংবাদ সসম্মেলনে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর সরকারের কাছে ২১ দফা প্রস্তাব জানিয়েছিলাম পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে। ২১টি লক্ষ্য নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছিলাম। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে পেরেছি। আমরা জাতির কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম, ২১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমরণ আন্দোলন করে যাব। এ পর্যন্ত তার তিন দফা দাবি বাস্তবায়িত করতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাকি দাবিগুলো বাস্তবায়ন করব। পরবর্তী পদক্ষেপে যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব বাতিল, তাদের পরিবারের সদস্যদের নাগরিকত্ব বাতিল, সম্পদ বাজেয়াপ্ত, প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ সব দাবি আদায়ে কাজ করে যাব।’
এ ছাড়া পাকিস্তানের কাছে ক্ষতিপূরণ আদায়সহ পাকিস্তান যেন তাদের অপরাধ স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চায় সে লক্ষ্যে বিশ্বে জনমত তৈরি করতে হবে বলে জানান তিনি।
এসময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের তথ্য-উপাত্ত অনুসন্ধান কমিটির আহ্বায়ক মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রম বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি সেনাদের সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও আমরা তথ্য অনুসন্ধান করে মোট ২৬১ জন পাকিস্তানি সেনার অপরাধের প্রমাণ পেয়েছি। তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনের যুগ্ম ও সংসদ সদস্য আহ্বায়ক শিরিন আকতার, মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বীর বিক্রম প্রমুখ। (স্বাধীনবাংলা২৪)