ফজলুল বারী:আওয়ামী লীগের মনোনয়ন মোটামুটি ভালো হয়েছে। তবে দেশের রাজনীতির রিপোর্টার এবং দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষক হিসাবে আমার ধারনা এটিই চূড়ান্ত মনোনয়ন নয়। বেশকিছু আসনে অদলবদল হতে পারে। শরীকদের ছাড়তে হতে পারে আরও কিছু আসন। প্রবীন এবং নবীনের সমন্বয় আছে মনোনয়ন বিবেচনায়। আরও বেশি নবীন প্রার্থী আশা করেছিলাম। কিন্তু ধারনা করতে পারি এটি একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন হবে বলে প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষের কথা মাথায় রেখে ঝুঁকিতে যেতে চায়নি শাসকদল। নারী প্রার্থীর সংখ্যাও আশানুরূপ নয়। কারন একটাই। বেশিকিছু ইসলামী দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবার নির্বাচনী সমঝোতা করছে এবং করছে। এটি দলটির নতুন রাজনৈতিক রূপ।
সিনিয়র নেতাদের কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় সবাই এই নির্বাচনেও মনোনয়ন পেয়েছেন। সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী অনেক দিন থেকেই অসুস্থ। আবার গুরুতর অসুস্থ সাবেক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার এই গুনটি অসাধারন। ক্যান্সারে আক্রান্ত সৈয়দ আশরাফুলের আসনে অবশ্য সাবেক ছাত্রনেতা মশিউর রহমান হুমায়ুনকেও মনোনয়ন দিয়ে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের আসনে যথারীতি তাঁর মেয়ে সিমিন হোসেন রিমিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাঁর ভাই সোহেল তাজ আর রাজনীতিতে ফিরলেননা। নরসিংদীর সিনিয়র নেতা ও যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল মজিদ হুমায়ুন এবারও মনোনয়ন পেয়েছেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ঝুঁকিতে না পাঠিয়ে শেখ হাসিনা রংপুরে তাঁর শশুরবাড়ির আসন থেকে আবারও নির্বাচন করছেন। ধারনা করা চলে তাঁকে আগামীতে উপনির্বাচনে পাশ করিয়ে আনা হবে। কাল্পনিক পদ্মাসেতু দুর্নীতির অভিযোগের শিকার সৈয়দ আবুল হোসেন এবারও মনোনয়ন পেলেননা। তাঁর আসনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন। এবার সেখান থেকে ড আব্দুস সোবহান গোলাপকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
অনেক বছর ধরে দলনেত্রীকে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছেন আব্দুস সোহান গোলাপ। বুদ্ধিমান বাহাউদ্দিন নাছিম এরমাঝে এই মনোনয়ন মেনে নিয়ে বলেছেন শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আওয়ামী লীগের দুর্দিনের দিনগুলোতে ধানমন্ডির বত্রিশ নাম্বার সড়কের বাড়িকে ঘিরে তরুন বাহাউদ্দিন নাছিম, মৃনাল কান্তি দাশ, নজিবুর রহমান নজিবসহ আরও কয়েকজনের অবিস্মরনীয় ভূমিকা ওয়াকিফহালরা জানেন। এডভোকেট মৃনালকে মুন্সিগঞ্জের একটি আসনে আপাতত মনোনয়ন দেয়া হলেও জোট রাজনীতির সমঝোতায় সেটি বদলেও যেতে পারে। সাম্প্রতিক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর কবির নানককে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। কিন্তু নানকের অবদান ওই ঘটনার চেয়ে অনেক অনেক বিশাল।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমদ, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরুল্লাহ, ড আব্দুর রাজ্জাক সহ পুরনো প্রায় বেশিরভাগ মনোনয়ন পেয়েছেন। আবুল মাল আব্দুল মুহিত আগেই বলে রেখেছিলেন তিনি নির্বাচন করবেননা। তার ছোটভাই আবুল মোমেনকে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাঁর পুরনো আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন। যুক্তফ্রন্টের শমসের মোবিন চৌধুরীকে ওই আসন ছেড়ে দিলে বাদ পড়বেন মন্তিসভার আরেক দুর্নীতিমুক্ত মন্ত্রী নাহিদ। মৌলভীবাজার-২ তথা কুলাউড়া আসনে কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। সেখানকার ধানের শীষের সাবেক এমপি এম এম শাহীনকে যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে সেখানে প্রার্থী করার কথা শোনা যাচ্ছে। সেখানকার নৌকার সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ঘাড়ে নিচ্ছেন ধানের শীষ। আর শাহীন উঠছেন নৌকায়। এই নির্বাচনে এমন আরও অদল-বদল ঘটতে পারে।
নতুন তরুন প্রার্থীদের মধ্য আলোচনায় অবশ্যই সবার ওপরে বাংলাদেশের ক্রিকেট আইকন মাশরাফি বিন মোর্তজা। নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন মাশরাফি। সাকিব আল হাসান মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরুন কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান শিখর সে আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। সাবেক ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা ও এমপি প্রয়াত আসাদুজ্জামান খানের সন্তান শিখর অবশ্য সে আসনের জন্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, এডভোকেট স ম রেজাউল করিমও নতুনের মধ্যে বিশেষ আলোচিত । চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রথম
নির্বাচিত মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে নওফেল এরমাঝে আওয়ামী লীগের অন্যতম সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নিজেকে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। চট্টগ্রাম-৯ তথা বাকলিয়া-কোতোয়ালী আসনটি আগেরবার জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। পিরোজপুর-১ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এডভোকেট স ম রেজাউল করিম। সুপ্রিমকোর্টে তরুন আইনজীবী হিসাবে কাজ করার সময় সাংবাদিকতার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন স ম রেজাউল করিম। নিজস্ব মেধা যোগ্যতায় তিনি তরতর এগিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক তিনি। সাম্প্রতিক সংলাপেও তাকে সরকারপক্ষের প্যানেলে রাখা হয়েছিল।
হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে নৌকার মাঝি হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত হবিগঞ্জ-৪ আসন। লুৎফর রহমান সরকার দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ১৯৯৮ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের ২২ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। চুনারুঘাটে বনাঞ্চল রেমা কালেঙ্গা, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, বাল্লা স্থলবন্দরসহ বেশ কয়েকটি চা বাগান এবং মাধবপুরে একাধিক গ্যাসক্ষেত্র, ও রাবার বাগান থাকায় অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে স্বাধীনতা পরবর্তী ১০ বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পায় সাত বার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে আর ফরাসউদ্দিন বিজয়ী হলে তিনি হতে পারেন পরবর্তি অর্থমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫), গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক নারায়ণগঞ্জ-১, মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১), ডা. দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), শ ম রেজাউল করিম (পিরোজপুর-১), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল (ঢাকা-১২), সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আসলামুল হক (ঢাকা-১৪), কামরুল ইসলাম ঢাকা-২, নিজামউদ্দিন হাজারী (ফেনী-২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), শেখ জুয়েল (খুলনা-২), মাশরাফি বিন মোর্তজা (নড়াইল-২), মাহবুবুল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), ড. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), এনামুল হক (রাজশাহী-৪)।
চিঠি পাওয়া অন্যরা হলেন অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন (পঞ্চগড়-২), রমেশচন্দ্র সেন (ঠাকুরগাঁও-১), দবিরুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও-২), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), ইকবালুর রহিম (দিনাজপুর-৩), আবুল হাসান মাহমুদ আলী (দিনাজপুর-৪), অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (দিনাজপুর-৫), আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২), মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১), নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), এইচএন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ডা. ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), শামসুল আলম দুদু (জয়পুরহাট-১), আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (জয়পুরহাট-২), আবদুল মান্নান (বগুড়া-১), হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫), সাধনচন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), নিজাম উদ্দিন জলিল জন (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬), ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), প্রকৌশলী এনামুল হক (রাজশাহী-৪), শাহরিয়ার আলম (রাজশাহী-৬), অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মো. আব্দুল কুদ্দুস (নাটোর-৪), মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), ডা. হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), আবদুল মজিদ মণ্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ ডিলু (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক প্রিন্স (পাবনা-৫), ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), আবদুর রউফ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১)।
চিঠি পেয়েছেন আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিৎ কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য (যশোর-৫), ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬), বীরেন শিকদার (মাগুরা-২) শেখ হেলাল উদ্দিন (বাগেরহাট-১), হাবিবুন্নাহার (বাগেরহাট-৩), পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), মুন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), আবদুস সালাম মুর্শেদী (খুলনা-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫), অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এসএম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪), অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান রিমন (বরগুনা-২), আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন (পটুয়াখালী-৩), তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪), আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), অ্যাডভোকেট তালুকদার মোহাম্মদ ইউনুস (বরিশাল-২), পংকজ দেবনাথ (বরিশাল-৪), জেবুন্নেছা আফরোজ (বরিশাল-৫), আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২), ড. আবদুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাসান ইমাম খান (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আহসানুল ইসলাম (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
(কিশোরগঞ্জ-১), রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩), সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি (মুন্সীগঞ্জ-২), অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস (মুন্সীগঞ্জ-৩), নসরুল হামিদ বিপু (ঢাকা-৩), হাজী সেলিম (ঢাকা–৭), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা (ঢাকা-১৬), আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), মেহের আফরোজ চুমকি (গাজীপুর-৫), লে. কর্নেল (অব) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক (নরসিংদী-১), জহিরুল হক ভূঁইয়া (নরসিংদী-৩), অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), এ কে এম শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪), কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১), ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩), কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪), লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২), এ কে এম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১)।
মনোনয়নপ্রাপ্তরা আরও হলেন নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), রেজাউল করিম হিরা (জামালপুর-৫), আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), একেএম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩), জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্তা (সুনামগঞ্জ-২), এমএ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন (হবিগঞ্জ-৪), মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস (সিলেট-৩), ইমরান আহমদ (সিলেট-৪), নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬), শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), অ্যাডভোকেট আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), ক্যাপ্টেন (অব) এবি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার (কুমিল্লা-৬), অধ্যাপক আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), আ ন হ মুস্তফা কামাল (কুমিল্লা–১০)।