বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে নতুন কোন শিল্পকারখানা স্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, তার তালিকা আদালত আগামী ছ’মাসের মধ্যে দাখিল করার জন্যও সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে ‘সেইভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি পরিবেশ সংস্থার সভাপতি শেখ ফরিদুল ইসলাম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ঐ রিট আবেদনটি দাখিল করেন।
এতে সুন্দরবনের চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে স্থাপিত শিল্প কারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
একই সাথে ঐ এলাকার মধ্যে যেসব কারখানার অনুমতি দেয়া হয়েছে তা বাতিলেরও আবেদন জানানো হয়।
গণমাধ্যমের খবরকে উদ্ধৃত করে রিট আবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তর ঐ অঞ্চলে প্রায় দেড়শোটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প করার জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দিয়েছে, যার মধ্যে জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ পরিবেশ দূষণকারী প্রকল্পও রয়েছে।
রিটে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ১৯৯৯ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন এবং এর চারপাশে ১০ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে।
রিটে বলা হয়েছে, সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে সুন্দরবনের চারপাশের এলাকায় ভূমি, পানি, বায়ু ও শব্দ দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না।
ফলে সুন্দরবনের আশেপাশে কোন শিল্পকারখানা স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হলে তা হবে সংবিধান ও পরিবেশ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। (সূত্রঃ বিবিসি বাংলা )