সিডনির ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ড দিয়ে বৈশাখী মেলার উৎসব শুরু।

সিডনির ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ড দিয়ে বৈশাখী মেলার উৎসব শুরু।

গত ৭ এপ্রিল শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে টেম্পি পার্ক বৈশাখী মেলা নামে পরিচিত মেলাটি অনুষ্ঠিত হয় ফেয়ারফিল্ডের শো গ্রাউন্ডে। বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনির আয়োজন দিয়ে এই বছর বৈশাখী উৎসবের যাত্রা শুরু হল বিরাট আঙ্গিকে। বাংলা বর্ষবরণ উদ্‌যাপনকে সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাঙালিদের উৎসব-আয়োজনের কোনো কমতি নেই। পরবর্তীতে সিডনি তথা অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় মেলাটি অনুষ্ঠিত হবে সিডনি অলিম্পিক পার্কে আগামী ১৪ ই এপ্রিল। একই দিনে সকাল থেকে পান্তা, ইলিশ , ভাত ও ভর্তা নিয়ে থাকছে লাকেম্বায় আরেকটি উৎসব দুপুর পর্যন্ত। ১৫ই এপ্রিল থাকছে সিডনির ইঙ্গেলবার্নে বিকাল ৫ টা থেকে রাট ১০টা পর্যন্ত নতুন প্রজন্মের শিশুকিশোরদের নিয়ে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী উৎসব।

এবার মেলায় পার্কিংয়ের স্থান সংকুলানের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে অনেকেই খুবই তৃপ্ত ছিলেন। এইবারের মেলায় প্রায় দুই হাজারেরও বেশি ফ্রি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ছিল ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে। যদিও বাড়তি খরচ দিতে জনপ্রতি ৫ ডলার করে এন্ট্রি ফি।

দিনব্যাপী মেলায় আয়োজন ছিল। বিকেল থেকে বাঙালি প্রবাসীদের পদচারনায় মেলা প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত। কেউ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখছেন, কেউ পছন্দ হলে পণ্য ক্রয় করছেন। সন্ধ্যা নাগাদ কানায় কানায় ভরে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। পোশাকের স্টলগুলোতে ছিল সালোয়ার-কামিজ, জামদানি ও অন্যান্য তাঁতের শাড়ির বিপুল সমাহার।

খাবার স্টলগুলোর মধ্য ছিল ফুচকা , চটপটি,হরেক রকম বিরয়ানী, তেহেরী,পিয়াজু, হালিম, জিলাপি, সিঙ্গারা, কাবাব, মিষ্টির সমাহার। ছিল বাহারি রকমের পিঠার স্টল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাচ-গানে, ইত্যাদিতে আনন্দ মুখরিত ছিলো মেলা প্রাঙ্গণের প্রতিটি কর্নার।
মেলার শেষ পর্যায়ে স্বদেশ বার্তার পক্ষ থেকে রাফেল ড্র  এবং আতশবাজির মাধ্যমে রাট ১০টায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে মেলার ইতি টানেন বৈশাখী মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আলম শাহাজাদা।