বিশ্ব রিফিউজি দিবস

বিশ্ব রিফিউজি দিবস

আবুল কালাম আজাদঃ ২০ জুন, বিশ্ব শরণার্থী দিবস (ওয়ার্ল্ড রিফুজি ডে)। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০০১ সাল থেকে প্রতি বছর ২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। রিফুজি বলতে বোঝায় যারা বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করেন। অর্থাৎ নিজেদের দেশ তাদের জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়ায় তখন বাধ্য হয়ে অন্য দেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন তাদেরকে রিফুজি বলা হয়। শরণার্থী বা উদ্বাস্তু (ইংরেজি: Refugee) বলে।জাতিগত সহিংসতা, ধর্মীয় উগ্রতা, জাতীয়তাবোধ, রাজনৈতিক আদর্শগত কারণে সমাজবদ্ধ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতাই এর প্রধান কারণ।

যিনি শরণার্থী বা উদ্বাস্তুরূপে স্থানান্তরিত হন, তিনি আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে পরিচিত হন। আশ্রয়প্রার্থী ব্যক্তির স্বপক্ষে তার দাবীগুলোকে রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৫ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান, ইরাক, সিয়েরালিওন, মায়ানমার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান এবং ফিলিস্তিন বিশ্বের প্রধান শরণার্থী উৎসস্থল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে অগণিত লোক শরণার্থী হয়েছিলেন। আবার আরাকান রাজ্য থেকে গত কয়েক মাসে রোহিঙ্গাদের উপর ব্যাপক নির্যাতনের ফলে তাদের বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ দেখেছি। কিছু সিরিয়ানরাও শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের ২০১৬ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বে মিলিয়নের উপরে রিফিউজি, এসাইলাম সিকার অথবা নিজ দেশে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত লোক রয়েছে।