সামিনা চৌধুরীর’ সিডনি প্রবাসী বাঙ্গালী দর্শক-শ্রোতাদের এক মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা উপহার দেন

সামিনা চৌধুরীর’ সিডনি প্রবাসী বাঙ্গালী দর্শক-শ্রোতাদের এক মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা উপহার দেন

বহু প্রতীক্ষার পর পর সামিনা চৌধুরীর ভক্তরা তাকে খুব কাছে পেলেন গত ১৫ই নভেম্বর ২০১৫ (রবিবার) জেমস মিহান স্কুল অডিটোরিয়ামে । সংগীতের আরাধনা, তাল, লয় আর সুরের মূর্ছনায় সিডনি প্রবাসী বাঙ্গালী দর্শক-শ্রোতাদের এক মনোমুগ্ধকর সন্ধ্যা উপহার দেন।

সিডনির সর্বজন সমাদৃত শিল্পীযুগল আতিক হেলাল ও আরেফিন মিতার পরিচালনায় সময়মত অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

চমৎকার আবাহাওয়া এবং জেমস মিহান স্কুল কার পারকিং এর যথেষ্ট সুবিধা থাকাতে বহুদূর থেকে আসা দর্শক-শ্রোতাদের কোনও অসুবিধার মুখে পরতে হয়নি।গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।

প্রথমে নিজের এবং পরে দর্শকদের অনুরোধের সঙ্গীত পরিবেশন করে প্রবাসের দর্শকদের উপহার দেন এক অসাধারণ এবং অনুপম অনুষ্ঠান। বাংলার বিখ্যাত গায়ক ও বাবা মাহমুদুন্নবীঁর কয়েকটি গান ও তার নিজের গাওয়া গান দিয়ে সবাইকে ধরে রাখেন প্রতিটি মুহূর্ত।

অনুষ্ঠানে যারা এসেছেন তারা প্রাণভরে উপভোগ করেছেন সামিনা চৌধুরী গান। অন্য কোনো শিল্পী না থাকায় সামিনাও যেমন উজার করে গেয়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে দর্শকরাও উপভোগ করেছেন হৃদয় নিংড়িয়ে।

ক্লাস এইটে পড়ার সময়ে গাওয়া ওই গান দিয়ে সামিনা চৌধুরী চল্চ্চিত্রে গান শুরু করলেও এরপর তিনি টেলিভিশন, রেডিও সহ সব মাধ্যমে গাইতে শুরু করেন । তার মধ্যে ‘একবার যদি কেউ ভালবাসত’  আর ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’ এই গান দুটি দিয়েই তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ।সবাইকে গেয়ে শুনান ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’।  ‘

বিরতির পর এই সঙ্গীত অনুষ্ঠানের আয়োজক জনাব আতিক হেলাল ধন্যবাদ জানান ‘স্পন্সর’ দের সবাইকে একে একে। অনুষ্ঠানটির ‘গোল্ড স্পন্সর’ সিডনির একমাত্র বাঙালি মালিকানাধীন আবাসন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ‘Linkers’ এর পরিবারের পক্ষ থেকে মিসেস মাহমুদ হোসেন, সামিনা চৌধুরীকে একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।

‘আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন’  এই গানটি গাওয়ার সময় সামিনা দর্শক-শ্রোতাদের আনন্দ দিতে বেছে নেন নায়ক বেশে গায়ক ‘Linkers’ এর জনাব মাহমুদ হোসেন কে।

আরেকবার নায়ক ও গায়ক এর প্রয়োজন হয় ‘তুমি যে আমার কবিতা’ গানটি গাওয়ার সময়। তখন সামিনার সাথে তাল মিলান দুই জন নায়ক আতিক হেলাল ও রহমত উল্লাহ।

এছাড়াও মিতা আরেফিন ও সামিনা চৌধুরী  যৌথভাবে ‘সুরের ভুবনে’ গানটি গান।

দর্শকদের অনুরোধের তালিকা অনেক বড়। তার মধ্যে বেছে বেছে কয়েকটি গান  উপহার দেন

‘যিনুক ফোটা………।’

‘সময় যেন কাটে …

‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে …’

‘তুমি এলে পায়ে পায়ে…’

‘তুমার খোলা হাওয়া —–(রবীন্দ্র সঙ্গীত)’

অসুস্থ লাকি আকন্দের রুগ্মুক্তি কামনাও করে গান ‘আমায় ডেকনা ফিরানো যাবে না…’

সবশেষে সবাইকে নিয়ে ‘ও আমার দেশের মাটি তোমার …’ গেয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি টানেন।

সব মিলিয়ে চমৎকার  উপভোগ্য একটি সন্ধ্যা উপহার দিয়ে গেলেন সিডনির প্রবাসী বাঙ্গালীদের।