গোল্ডকোস্টে খালেদ সুমনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান

গোল্ডকোস্টে খালেদ সুমনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান

 

 

সিডনি প্রতিবেদকঃ অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন নগরী গোল্ডকোস্টে গত ১৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড চাইম’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, কিবোর্ড ও ভোকালিস্ট খালিদ সুমনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। উল্লেখ্য যে, খালিদ সুমন চাইমের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে একজন কীবোর্ড ও ভোকালিস্ট হিসেবে ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ থেকে তিনি কানাডায় অভিবাসিত হবার পর নিজ নামে অর্থাৎ খালিদ সুমন’ নামেই একক ভাবে স্বকীয় সংগীত ভুবন সৃষ্টি করেন। তিনি গত ২০ বছর ধরে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য সহ অন্যান্য বহুদেশে একক সংগীতের অনুষ্ঠান করে প্রবাসে বাংলা গান ও ব্যান্ড সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটায় অনুষ্ঠান শুরু হয় মেলবোর্ন থেকে আসা অতিথি শিল্পী রায়হানা শারমিন মিশু’র গাওয়া-‘সাগরের তীর থেকে, মিষ্টি কিছু হাওয়া এনে’ গানটি দিয়ে। এরপরই মঞ্চে আসেন খালিদ সুমন। প্রথমে শুরু করেন, আমি বাংলায় গান গাই’-এই গানটির সাথে স্থানীয় শিশু শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করে। এরপর একে একে চাইমের অন্যান্য জনপ্রিয় অনেক গানের সাথে নাতি খাতি বেলা গেলো, কীর্তন খোলা নদী আমার’ সহ শ্রোতাদের অনুরোধের প্রায় সব গানই গেয়ে শোনান। ব্যতিক্রমি পরিবেশনার মধ্যে ছিল আমি তোমাকেই বলে দিবো’ গানটির সাথে কবিতার চয়ন। সিডনী থেকে আসা কাজী সুলতানা শিমি কবিতা’টিতে কণ্ঠ সংযোজন করেন। খালিদ সুমন প্রায় ৩ ঘণ্টা সময় ধরে ৩০-৩৫টি গান গেয়ে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মন্ত্র মুগ্ধ করে রাখেন।

অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্ট পর্যটন নগরী বিধায় তুলনামূলক কম বাংলাদেশীর বসবাস। পর্যটন নগরী’র  অনন্য এ পরিবেশে খালিদ সুমনের একক পরিবেশনা ছিল বলতে গেলে স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য এক আনন্দঘন’ আয়োজন। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডাঃ আতিফুর রহমান জেরিন, ডাঃ নায়লা আজিজ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান সোহাগ ও তুলি নূর। উল্লেখ্য যে, খালিদ সুমন লেখিকা মিনা আজিজের কনিষ্ঠ ছেলে এবং পেশাগত ভাবে তিনি একজন আইটি স্পেশালিষ্ট হিসেবে কানাডার টরেন্ট’তে কর্মরত আছেন। অস্ট্রেলিয়ায় সফর সঙ্গী হিসেবে তারসাথে ছিল তার দুই কন্যা ও স্ত্রী রিমঝিম। এক কথায়, গোল্ডকোস্ট বাসীদের জন্য খালিদ সুমনের একক সঙ্গীতানুষ্ঠানটি ছিল এক অনবদ্য পরিবেশনা। অনুষ্ঠানটির সার্বিক আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ এসসিয়েশান ব্রিসবেন।