‘মওদুদ আহমদ এর উচ্ছেদ নিজ চোখে দেখতে পেয়ে ‘শাওন মাহমুদ’ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

‘মওদুদ আহমদ এর উচ্ছেদ নিজ চোখে দেখতে পেয়ে ‘শাওন মাহমুদ’ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপ রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে গুলশান এভিনিউর ১৫৯ নম্বর বাড়ি থেকে চূড়ান্তভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এই রাজনীতিবিদ আইনজীবী মওদুদ আহমদই ১৯৮২ সালে বাড়ি ছাড়া করেছিলেন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবারকে। বাধ্য হয়ে সেদিন পথে নেমে উক্ত পরিবারের মা ও মেয়েকে কৃষ্ণচুড়া গাছের নিচে আশ্রয় নিতে হয়েছিল।

সেই পরিবারটি হচ্ছে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানটির সুরকার আলতাফ মাহমুদের পরিবার এবং মেয়েটি হচ্ছেন আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ। তিন যুগ পর মওদুদ আহমদএর উচ্ছেদ নিজ চোখে দেখতে পেয়ে শাওন মাহমুদ তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন: অনেক শরীর খারাপেও এই ছবিটা আমাকে সকাল সকাল সোজা করে দাঁড়িয়ে দিলো। দেশ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শহীদ পরিবারদের বেশ কিছু বাড়ি নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে উপহার দিয়েছিলেন। তার মধ্যে আমাদের বাড়িটি ছিল ১ নং মালীবাগ। ৮২ সালের ফেব্রুয়ারিতে একদিনের নোটিশে সে বাড়িটি থেকে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়। একটা কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে স্যুটকেসের ওপর মা বসিয়ে রেখেছিলেন আমায়। বসে বসে পুলিশের তান্ডব দেখেছিলাম সেদিন। দোতলা থেকে বাবার ব্যাগ ফেলছিল ওরা। এলপি রেকর্ডগুলা চূর্ণ বিচূর্ণ করে ফেলছিল বারান্দা থেকে। নীচের তলার সংগীত স্কুলের হারমোনিয়াম তবলা তানপুরা উঠোনের এখান ওখানে ছুড়ে ছুড়ে ফেলছিল ওরা। আমি জানতাম না রাতে কোথায় থাকবো সেদিন।

সেই উচ্ছেদ প্রকল্পের প্রধান উদোক্তা মউদুদকে স্যুট পরে মাধবীলতা গাছের নীচে দাঁড়িয়ে তার উচ্ছেদ হওয়া বাসার সামনে বলতে শুনলাম যে তিনি ফুটপাতে থাকবেন। হা হা হা মউদুদ সাহেব ৮২ সালের উচ্ছেদ ভুলি নাই। ভুলবো না। ইটটি মারিলে পাটকেলটি খাইতে হয়। ওহ্ আরেকটা কথা, সেদিন আমরা যদিও জানতাম না কোথায় থাকবো তারপরও ফুটপাতে থাকবার কথা ভাবিনি। প্রতিবেশীর খালি বাসাটা তাৎক্ষনিক ভাড়া নিয়ে নিয়েছিলাম আমরা

আমি একশো বছর বাঁচবো।

হিসাব নিয়ে তারপর যাবো।