সিডনিতে স্বাধীনতার ৪৫ বৎসর উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান !

সিডনিতে স্বাধীনতার ৪৫ বৎসর উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান !

স্বাধীনতার ৪৫ বৎসর উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সকল শহীদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে গত ৫ই এপ্রিল সিডনি শহরের Hurstville – এর মারানা অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয়েছিল একটি বিজয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সময়ের সঙ্গে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার তুলে ধরার অঙ্গীকার নিয়ে অজ-এশিয়া ইভেন্টস ও বিদেশ বাংলা টেলিভিশন ইনক এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিথ ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হুসাইন।    বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল (গাজিপুর-২)। অনুষ্ঠানে টিকেট বিক্রির টাকার একটি অংশ বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে দেয়া হবে।

প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ,স্বাধীনতা ও শহীদদের স্মরণে প্রথমেই পরিবেশনা করা হয় জনপ্রিয় অভিনেতা আজিজুল হাকিম-জিনাত হাকিম দম্পতির কন্যা মডেল,অভিনেত্রী নাযাহ’র নেতৃত্তে একটি দলীয় নৃত্য।একক নৃত্য আর গানে মঞ্চ মাতিয়ে যান বাংলা লিঙ্ক খ্যাত মডেল শখ।পর্যায়ক্রমে স্থানীয় ব্যান্ড দল “8 Notes” তাদের গান পরিবেশন করেন এবং পুরো অনুষ্ঠানটির মিউজিক পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন তারা।গ্যালারিতে তাহসানের অপেক্ষায় উন্মুখ দর্শকের প্রাণোচ্ছল উচ্ছ্বাসে অনেক তীব্রতা ছিল।দর্শকের আনন্দ-উল্লাস তাহসান-তাহসান ধ্বনিতে পুরো গ্যালারী মুখরিত হয়ে উঠেছিল।অবশেষে সুরের জাদুকর ইয়াং ক্রেজ তাহসানও তার ভক্তদের নিরাশ করেনি। একের পর এক গেয়েছেন তার তুমুল জনপ্রিয় গানগুলো। সবশেষে মঞ্চে আসেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফোক গানের শিল্পী শাহনাজ বেলি। তিনিও গানের তালে নেচে গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের নাচিয়ে তোলেন।

অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেছিলেন এখানকার প্রবাসি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীগন।তাদের মধ্যে মিউচুয়াল হোমস, কৈলাস ল’ইয়ার্স এন্ড কন্সালটেন্স,Indian fusion restaurant & bar, কোকাবুরা অস্ট্রেলিয়ান ষ্ট্যাণ্ডার্ড স্কুল,গ্লুবাল কোমোডিয়েস লিঃ,কালার ডট’স।

দেশের বাইরে জন্ম নেয়া নতুন প্রজন্মও নিজেদের সংস্কৃতি বুকে ধারণ করার পাশাপাশি বাংলা ভাষা চর্চা আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়েই নিজেদের ভাষা আর সংস্কৃতিকে আঁকড়ে বেঁচে থাকুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।এতে প্রবাসে জন্ম নেয়া নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশীদের বাংলা চর্চা ও মাতৃভাষার প্রতি গভীর মমত্ববোধ হয়ে উঠুক অনুকরণীয়।