দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে কারিগরি সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
রোববার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় পারস্পরিক এ আবেদন ও আশ্বাস বিনিময় হয়। অস্ট্রেলিয়ার মনাস ইউনিভার্সিটি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমাদের নিজস্ব সক্ষমতায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তারপরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়াকে আমরা পাশে চাই।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা এক হাজারের বেশি টেকনিশিয়ানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ে আরও বেশি শিক্ষিত ও সচেতন করে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ খাতের উন্নয়নে সরকার নানা পরিকল্পনা করেছে। এজন্য দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জুলিয়া নিবলেট বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সর্বোচ্চ কয়লা রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশে কয়লা ও এলএনজি পণ্য ব্যবহার হচ্ছে। বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন প্রয়োজন।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে উদ্ভাবনী ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা প্রয়োজন। অস্ট্রেলিয়া এ খাতে উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করছে। এসময় তিনি বাংলাদেশকে জ্বালানি খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, মনাস অ্যান্ড দ্য বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রফেসর জুলি উলফার্ম কক্স ও সেন্ট্রাল কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর স্কট বাউম্যান।(পরিবর্তন )