ভারতের এবং বাংলাদেশের তীর্থপথে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর নাম প্রথম সারিতে। তাঁর বাণী এবং আদর্শ আজ প্রতিটি মানুষের কাছে এক শিক্ষণীয় বিষয়। তিনি শিখিয়েছিলেন উচ্চ-নীচ ভেদ ভুলে সকলকে আপন করে নিতে। শিখিয়েছিলেন সর্বধর্মের সমন্বয়সাধন, যা এই ভারতেই সম্ভব। সম্প্রতি তাঁর তিরোধান দিবস পালিত হল ভারতের ও বাংলাদেশের পাশাপাশি বিদেশেও।বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী বহু তীর্থ ভ্রমণ করেন গুরু ভগবান গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। বিশ্বের নানা জায়গা ছিল তাঁর বিচরণ ক্ষেত্র। তিনি চিনেও গিয়েছিলেন, করেছিলেন কঠোর সাধনাও।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাবা লোকনাথের তিরোধান উৎসব পালিত হল বেশ ধুমধামের সঙ্গে। দেবী সাহা তাঁর বাড়িতে আয়োজন করেছিলেন বাবার তিরোধান দিবস। পুজোর পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ভজন কীর্তন এর।বহু মানুষ এক সঙ্গে মিলে উপভোগ করেছেন এই পুজো।এ বিষয়ে কথা হল দেবী সাহা ও গৌতম পাল এবং তার একমাত্র পুত্র সন্তান ঐশিক অন্তর পাল সহ আরো কিছু ভক্তবৃন্দের সাথে যারা দীর্ঘ একুশ বছর দেবী সাহার এই পুজোর আয়োজন থেকে সহায়তা করেন। তিনি জানালেন, গত ২১ বছর ধরে তিনি বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস পালন করে আসছে। তাঁর বিশ্বাস, বাবা লোকনাথ সমস্ত বিপদ থেকে উদ্ধার করেন সকলকে।উৎসবের দিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজোপাঠ, দুপুরে বাবাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। যে সমস্ত ভক্ত পুজোয় উপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রসাদ বিতরণ করা হয়।
দেবী সাহার কথায়, “এক কথায় প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে এমন আধ্যাত্মিক চেতনা সত্যিই আমাদের মুগ্ধ করে।”