অনলাইন ডেস্কঃ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সেমিফাইনালের আগে হাতে সময় পেয়েছেন দুই দিন। এই দুই দিনে ১০ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে নেওয়ারই পরিকল্পনা ছিল রজার ফেদেরারের!
আজ (বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা) ইউএস ওপেনের শেষ চারে প্রতিপক্ষ স্বদেশি স্তানিসলাস ভাভরিঙ্কা। যাঁর বিপক্ষে ১৯ ম্যাচের ১৬টিতেই জিতেছেন। তবে বেশি ঘুমানোর মানে এই নয় যে, চেনা প্রতিপক্ষকে পেয়ে নির্ভার ফেদেরার। আসলে সেমিফাইনালে ভাভরিঙ্কা-বাধা পেরোনোর প্রস্তুতি হিসেবেই যত বেশি পারা যায় ঘুমানোর পরিকল্পনা ১৭টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিকের। ৩৪ বছর বয়সী ফেদেরারের কাছে ঘুমই বড় ম্যাচ জয়ের আদর্শ প্রস্তুতি, ‘ঘুমটা বড়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে চাই আমি। জন ইসনারের সঙ্গে ম্যাচের পর (চতুর্থ রাউন্ডে) ঘুমাতে যেতে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল। যতটা চেয়েছিলাম ততটা ঘুমাতে পারিনি। ঘুম ম্যাচের আগে সত্যিকারের শক্তি জোগায় বলেই আমার বিশ্বাস। যে কারণে সামনের দুটো দিন আমার কাছে ঘুমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ঘুমিয়েই হোক কিংবা অনুশীলন করে—যেভাবেই প্রস্তুতি নিন না কেন, ফেদেরার ভালোই জানেন ভাভরিঙ্কা তাঁর সামনে বড় বাধা, ‘ক্যারিয়ারজুড়েই কঠোর পরিশ্রম করে গেছে স্ট্যান। অনুশীলনের মাধ্যমে অনেক উন্নতি করেছে।’ মুখোমুখি লড়াইয়ে তিনি যোজন যোজন এগিয়ে থাকলেও শেষ সাক্ষাতে গত ফ্রেঞ্চ ওপেনের শেষ আটে জিতেছিলেন ভাভরিঙ্কাই। অবশ্য যে তিনটি ম্যাচে ঘনিষ্ঠ এই বন্ধুর কাছে হেরেছেন ফেদেরার, সেই তিনটিই ছিল ক্লে কোর্টে। হার্ড কোর্টে তাঁকে এখনো হারাতে পারেননি ভাভরিঙ্কা। টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলছেন ফেদেরার। কোয়ার্টার ফাইনালে রিচার্ড গ্যাসকেটের বিপক্ষে ৮৭ মিনিটেই জিতে আসা ফেদেরার টুর্নামেন্টে এখনো একটা সেটও হারেননি।
তাতে কী? ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম ২০১৪ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পর ভাভরিঙ্কা এখন তাঁর মাপেরই প্রতিযোগী ভাবেন ফেদেরারকে। শেষ আটে কেভিন অ্যান্ডারসনকে হারিয়ে সেমিতে ওঠা ভাভরিঙ্কার ভাষায়, ‘আমি মনে করি এখন আমরা দুজনেই স্নায়ুচাপ নিয়ে কোর্টে নামব। আগে চাপটা শুধু আমার ওপরেই থাকত। আমি নার্ভাস থাকতাম, কারণ আমি জানতাম আমি তার পর্যায়ের খেলোয়াড় নই।’
দিনের অন্য সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচের মুখোমুখি মারিন চিলিচ।
মেয়েদের বিভাগে পরশু কোয়ার্টার ফাইনালে পেত্রা কেভিতোভাকে হারিয়ে ফ্লাভিও পেনেত্তা এবং ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে হারিয়ে সিমোনা হালেপ উঠেছেন সেমিফাইনালে। এএফপি। ( সুত্রঃ প্রথম আলো)