সিডনীর অ্যাশফিল্ড পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রতীতির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

সিডনীর অ্যাশফিল্ড পার্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রতীতির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

সিডনী প্রতিনিধিঃ সিডনীর অ্যাশফিল্ড পার্কে’র সবুজ চত্বরে আগামী ১লা মে রোববার সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতীতি আয়োজন করতে যাচ্ছে এক অনুপম বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। প্রতিবারের মতো এবারো ঢাকার রমনার বটমূলের আদলে সাজানো হয়েছে এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। অবিকল ঢাকার বর্ষবরণ পরিবেশ যেন সিডনীর অ্যাশফিল্ড পার্কে। এ অনুষ্ঠানের শুরু হবে রোববার সকাল ১০টা থেকে। উন্মুক্ত পরিবেশে সত্যিকার বৈশাখী ছোঁয়া পেতে প্রতীতির এ আয়োজন সিডনী প্রবাসী বাঙালীদের কাছে এক প্রতীক্ষিত দিন।

প্রাকৃতিক ও নৈসর্গিক স্নিগ্ধ আবেশে প্রতীতির এই অনবদ্য বর্ষবরণের আয়োজনে থাকছে সমবেতকণ্ঠে  গান, কবিতা, নাচ ও রবীন্দ্র সঙ্গীত সহ অন্যান্য আরও কিছু বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও থাকছে দেশীয় পিঠা-পুলির আয়োজন। বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসার-ই মূলত প্রতীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। প্রতীতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক সিরাজুস সালেকিন বলেন, উন্মুক্ত পরিবেশে বর্ষবরণের আয়োজনে মূলত প্রবাসে বাংলাদেশকে পরিচিত করা। তিনি জানান, প্রতীতির প্রতিটি আয়োজন অতান্ত সুনিপুণ, শিল্প-সম্মত এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিগতদিক থেকে উচ্চমান সম্পন্ন। উল্লেখ্য যে, সিরাজুস সালেকিন বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আজো সুপরিচিত।

প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য যে, সিরাজুস সালেকিন বাংলাদেশের জনপ্রিয় লোকগীতি শিল্পী আব্দুল লতিফের ছেলে। যিনি সোনা সোনা সোনা লোকে বলে সোনা, ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়, দোল দোল দুলুনি প্রভৃতি জনপ্রিয় গানগুলোর গীতিকার ও সুরকার। আব্দুল লতিফের ছেলে সিরাজুস সালেকিন খুব ছোটবেলা থেকেই রেডিও পাকিস্থা্নে ছোটদের অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তাই খুব অল্পবয়সেই তার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যাত্রা শুরু হয়। ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে তিনি রেডিও ও টেলিভিশনের একজন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে দর্শক শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নেন। সিডনীতে তিনি প্রতীতি’ নামে এই সংগঠনটি গড়ে তোলেন বাংলা ভাষাভাষী নতুন প্রজন্মকে রবীন্দ্র রচনার সাথে বব্ধন তৈরি করার প্রয়াসে। আর এ লক্ষ্যেই তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বলা বাহুল্য যে, সিডনীবাসীদের মতে প্রতীতির প্রতিটি উপস্থাপনা নান্দনিক ও শিল্প-সম্মত।