অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেটের প্রথম পর্বটি এ বছরের শুরুতে তৃনমূল পর্যায়ে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ায় সম্পন্ন করার হয় , এবার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া পর্বের জন্য। প্রাথমিক আলোচনা সভা ও পরিচিতি পর্ব সম্পন্ন হয়েছে সফলভাবে । এই অধিবেশনে পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বাংলাদেশীদের নেতৃত্বে ক্রিকেটকে আরো প্রানবন্ত করে তোলার প্রয়াস রাখার আলোচনা করা হয়েছে।
বৃহদায়তনের দেশ অস্ট্রেলিয়ার কিভাবে প্রতিটি রাজ্যে এক ্প্লাটফর্ম থেকে বাংলাদেশিসহ আন্ত কমিউনিটিতে ক্রিকেট উন্মাদনা বৃদ্ধি করা যায় একই সাথে স্থানীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করে অংশ নেয়া অতিথি ও প্রতিনিধিরা। ওয়েষ্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় তাজ কারি হাউজে এই অধিবেশনে যোগদেন পার্থের সংগঠক, ক্রীড়ানুরাগী, শুভানুধ্যায়ীরা। উপস্থিত ছিলেন সাবেক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মোজাফফর আহমেদ, সংঠক ও ক্রিড়ানুরাগী আবুহেনা ভুইয়া, লেখিকা মলি সিদ্দিকা, ক্রিকেটার গোলাম মোক্তাদির পমি, সাংবাদিক মারিয়াম মুন, ক্রিকেটার মোহাম্মদ সেজান ও আহবায়ক নির্জন মোশাররফ।
অংশ নেন ভারত, নেপালের প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুরাগী শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ থেকে ভার্চুয়ালি যোগদেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল, বাংলাভিশনের চিফ রিপোর্টার সুজন মাহমুদ , প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার স্পোর্টস জার্নালিষ্ট আপন তারিক। মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ছিলাম, পুরস্কার বিতরনীতে অংশ নিয়েছি। অত্যন্ত সফল একটি আয়োজন ছিল, আশা করছি অস্ট্রেলিয়াতেও এ আয়োজনটি সার্থক হবে, সবকিছু ঠিক থাকলে আমি অস্ট্রেলিয়া পর্বেও অংশ নিবো।
অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যেকটি রাজ্যের বলদৃপ্ত সংগঠকবৃন্দরাও ভার্চুয়ালি আলোচনা্য় অংশ নেন। অনলাইনে উপস্থিতি ছিলেন ভিক্টোরিয়া রাজ্য থেকে মোশারফ হোসেন রেহান (সংগঠক), নিউ সাউথ ওয়ালেস থেকে শাহেনুজামান টিটু ( রাজনীতিবিদ), সাউথ অস্ট্রেলিয়া থেকে নাজমুস সাদাত (সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ), ড. মিজানুর রহমান ( অধ্যাপক ও ক্রিড়াবিদ), মোহাম্মদ আসিফ ( ক্রিড়াবিদ), কুইনন্স্যাল্ড রাজ্য থেকে ডা: জহিরুল ইসলাম সহ অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিরা। অনলাইনে সংগঠকরা আগ্রহের সাথে এই আয়োজনটিকে সাধুবাদ জানান ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আয়োজনটিতে দুই দেশের উদ্যোক্তাদের ব্যবসা প্রসারের সুযোগ সহ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা উঠে আসে।
আহবায়ক নির্জন মোশাররফ অধিবেশনটির শেষাংশে প্রাথমিক পরিকল্পনা তুলে ধরেন, বড় পরিসরে এই আয়োজনের জন্য সবার সম্মতিক্রমে প্রতিটি রাজ্যে কমিটি গঠনের কাজ বিদ্যমান আছে বলে জানান। সেই সাথে আনুষ্ঠানিক আয়োজনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রেস কনফারেন্স হবে বলে উল্লেখ করেন।