লাকেম্বায় ত্রিমাত্রার তিন দিনব্যাপী ঈদ মেলার সমাপ্তি

লাকেম্বায় ত্রিমাত্রার তিন দিনব্যাপী ঈদ মেলার সমাপ্তি

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:গত ২৭শে জুলাই,৩রা অগাস্ট এবং ১০ই অগাস্ট সিডনি প্রবাসী বাঙালিদের প্রাণকেন্দ্র লাকেম্বার ‘ল্যাকেম্বা ইউনাইটিং চার্চ এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তিন দিনব্যাপী(পর পর তিন শনিবার ) ঈদ উল আযহার জমজমাট ‘লাকেম্বা ঈদ মেলা ২০১৯’ । ১০ই অগাস্ট লাকেম্বায় প্রথমবারের মতো চাঁদ রাত মেলা পালনের মধ্য দিয়ে  ত্রিমাত্রা অস্ট্রেলিয়া ইন্ক্ আয়জিত তিন দিনব্যাপী(পর পর তিন শনিবার )লাকেম্বা ঈদ মেলার জমজমাট এবং সফল সমাপ্তি ঘটে।অন্যবারের মতো এবারও সকাল ১১ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সিডনির  বিখ্যাত ফ্যাশান হাউসগুলোর অংশগ্রহনে ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মেলায় আয়োজক সিডনির বিখ্যাত ফ্যাশান হাউস “শাহিন’স বুটিক “এবং সিডনির বাংলা হেয়ার এন্ড বিউটি স্টুডিও’র কর্ণধার, যথাক্রমে শাহিন আকতার স্বর্ণা (সাধারণ সম্পাদক,  ত্রিমাত্রা অস্ট্রেলিয়া ইন্ক্ )এবং শিরিন আকতার (সভাপতি, ত্রিমাত্রা অস্ট্রেলিয়া ইন্ক্ )। ভবিষ্যতে তারা  ক্রেতাদের আরও নতুন কিছু উপহার দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

ঈদ মেলাকে ভিন্নরূপ দেয়াই ত্রিমাত্রার নতুনত্ব । এরই ধারাবাহিকতায় মেলার শেষ দিন ছিল ক্রেতাদের জন্য  আকর্ষণীয় রাফেল ড্র ।ঈদ মেলায় যেমন ছিল প্রচুর লোকের সমাগম তেমনি ছিল নতুন বুটিক্স এবং দেশীও কাপড়ের সমাহার।প্রবাসে বসে সিডনির নারী উদ্যোক্তাদের তাদের প্রদর্শিত পণ্য প্রবাসী ক্রেতাদের পৌঁছে দিতে ,প্রবাসে বসে দেশের স্বাদ গ্রহন করা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে দেশীয় ঐতিহ্যকে তুলে ধরতেই ঈদ মেলার আয়োজন।  তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে । দেশি ঈদ শপিং বলতে  আমরা যেমন  নিউমার্কেট-গাওসিয়া, মিরপুর,বসুন্ধরা কিংবা  ধানমন্ডির জমজমাট শপিংমল ও লোকারণ্য বুঝি, তেমনি জমজমাট স্বাদ ত্রিমাত্রার এই ঈদ মেলায় দেখা গেছে। প্রত্যেকটি ফ্যাশান হাউস তাদের পোশাকে নতুনত্ব বজায় রেখেছে। সিডনির  বিখ্যাত ফ্যাশন হাউসগুলো ছিল এই মেলায়। তাদের রকমারি পোশাক মেলার সৌন্দর্য অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে। সবগুলো স্টল সজ্জিত ছিল রকমারি দেশিও পোশাকে। দেশী শাড়ি ,সালওয়ার-কামিজ , গহনা ,ছেলেদের পাঞ্জাবি, ছোটোদের পোশাক এবং রকমারি খেলনার পসরা সাজিয়ে নিয়ে এসেছিলেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের কেনাকাটা দেখে মনে হয়েছে আমরা যেন বাংলাদেশেরই কোন বিপনিকেন্দ্রে আছি। আর ছিলো দেশীও খাবার যা চিরচেনা বাংলাদেশকে মনে করিয়ে দিয়েছে। ছিল ছোটদের জন্য খেলনার দোকান।এই মেলাকে জমজমাট করার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাবো আমাদের সকল স্পন্সর এবং মিডিয়া পার্টনার জন্মভুমি টেলিভশনকে। আমরা কৃতজ্ঞতা  জানাই মুহাম্মাদ রাশেদসহ সকল কমিউনিটি লিডার এবং টিভি মিডিয়া ওপ্রিন্ট মিডিয়ার সকল সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি,যারা আমাদের এই মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করতে সহযোগিতা করেছেন।

মেলার দ্বিতীয় দিন গত ৩রা অগাস্ট ,বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং স্পনসরদের উপস্থিতিতে আগামী বছর ঈদ উল ফিতর এ রোজার মাসে ৫ দিন ব্যাপি (পরপর ৫ শনিবার )ঈদ মেলা উৎযাপনর ঘোষণা দেয়া হয়।দিন গুলো হলো ২৫শে এপ্রিল ,২রা  মে,৯ই মে,১৬ই মে এবং ২৩শে ,মে ২০২০।যথারীতি এই মেলার ভেন্যু ল্যাকেম্বা ইউনাইটিং চার্চ।

ত্রিমাত্রা সবসময়ই ব্যতিক্রম । আমরা মূলত বাংলা এবং দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিটিকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করার জন্য এই মেলা আয়োজন করে থাকি। সিডনিতে যারা পোশাকের ব্যবসা করে তারা মুলত সবাই মহিলা।মহিলাদের কাজের আরও সুযোগ  তৈরি করা এবং বিভিন্ন জন সচেতনতামুলক কাজ করা এই মেলার মূল উদ্দেশ্য। এইবার আমরা বাংলাদেশের ডেঙ্গু ও ভয়াবহ বন্যা কবলিত  মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং সবাইকে অনুরোধ করব যে যার মত বন্যার্ত  মানুষের পাশে দাঁড়ান।