ক্রিকেটে যা ঘটলো

ক্রিকেটে যা ঘটলো

ফজলুল বারী:ক্রিকেটারদের বিদ্রোহ অথবা আন্দোলন দেশের মানুষকে আলোড়িত করেছে। কারন এখন একমাত্র ক্রিকেটই  বাংলাদেশের মানুষজনকে দেশের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে। ক্রিকেটাররাই এখন দেশের হিরো। ক্রিকেট দিয়েই বিশ্বের নানা প্রান্তে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ। ক্রিকেটাররা এভাবে বিদ্রোহ অথবা আন্দোলন কেনো করলো এ নিয়েই চারদিক থেকে প্রশ্ন ওঠে। ভারত সফরকে সামনে রেখে ঘটনাটি ঘটায় বিষয়টি আতংক অথবা হতাশাও ছড়ায়। দেশের ক্রিকেটারদের মুরব্বি বিসিবি সভাপতির সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকে দেশের ক্রিকেট ধংসের ষড়যন্ত্র, দেশের হিরোদের ভিলেনের ভূমিকায়ও চিহ্নিত করা হয়! ‘খেললে খেললো না খেললে নয়’ এমন একটি বিপদজ্জনক উক্তিও করেন বোর্ড সভাপতি! ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের সূত্র ধরে এটিকে তাঁর আবেগ অথবা ক্রোধের বহিঃপ্রকাশও হিসাবেও অনেকে দেখেন। কিন্তু সবচেয়ে ভালো কথা তিনদিনের মধ্যে সমস্যার একটি আপাতত সমাধান হয়েছে। এ লেখায় আন্দোলনটির খুঁটিনাটি বিশ্লেষন করবো।

শুরুতে দেশের ক্রিকেট নিয়ে একটি মৌলিক সত্য বলি। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হাডুডু। কিন্তু এটি কখনোই বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা ছিলোনা বা এখনও নেই। প্রতিটি দেশের নিজস্ব একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা থাকে যা কখনো পরিবর্তিত হয়না। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। ক্রিকেট সেখানে ফুটবলকে হটিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলার স্থান দখল করেছে। এবং ক্রিকেটের এই এক নাম্বার হয়ে যাওয়াটা এমনি এমনি হয়ে যায়নি। বিসিবির পরিচ্ছন্ন ইমেজের বোর্ড পরিচালকদের একজন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম। সবার কাছে ববি ভাই নামে পরিচিত। এই ববি ভাই একদিন আমাকে বলেন ফুটবলের দাপটের যুগে তারা ক্রিকেট ম্যাচের প্রচারের জন্যে এক সময় সাংবাদিকদের এক রকম ধরে বেঁধে নিয়ে আসতেন। ক্রিকেট জানা বোঝা সাংবাদিকও তখন অত বেশি ছিলেননা। ডেকোরেটর থেকে ত্রিপল চেয়ার ভাড়া করে এনে মাঠের পাশের এক জায়গায় প্যান্ডেল বানিয়ে করা হতো প্রেসবক্স। বিসিবির লোকজন আইসিসির বৈঠকে গেলে বাংলাদেশ বললে অনেকে বুঝতো বার্বাডোজ! এমন অবস্থা থেকে তিল তিল করে অনেকের নিবিড় শ্রমঘামে ক্রিকেট আজকের জায়গায় এসেছে।

বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম টার্নিং পয়েন্ট ছিল কুয়ালালামপুরের মাঠের সেই আইসিসির ট্রফি জয়। বিশ্বকাপ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানো, বিলাতের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো এসব ঘটনা ক্রিকেটকে বদলে দিতে শুরু করে। তৎকালীন ক্রিকেট সংগঠকের পাশাপাশি অনেক খেলোয়াড়ের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়। টেস্ট মর্যাদা পাবার পর ক্রিকেটাঙ্গনে আমূল পরিবর্তন আসে। বাংলাদেশের আরও অনেক কিছুর মতো একটি বাস্তবতা ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থেকে শুরু করে বোর্ড পরিচালকরা রাজনৈতিক পছন্দে আসেন। জাতীয় পার্টির আমলে এই বোর্ড সভাপতি ছিলেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। সর্বশেষ বিএনপি আমলে ছিলেন আলী আসগর লবী। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সভাপতি হন সাবের হোসেন চৌধুরী। ১/১১’র ভূমিকায় তিনি ছিটকে গেলে বর্তমান অর্থমন্ত্রী লোটাস কামাল নেতৃত্বে আসেন। লোটাস কামাল আইসিসির দায়িত্বে চলে গেলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয় নাজমুল হাসান পাপনকে। সেখান থেকে তিনি স্থায়ী সভাপতি হন। শেখ হাসিনার ধারাবাহিক প্রধানমন্ত্রিত্বের মতো বর্তমান সভাপতির কর্তৃ্ত্বও ধারাবাহিক এবং নিরঙ্কুশ। বর্তমান সভাপতির আমলে দেশের ক্রিকেট ভিন্ন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে।

ক্রিকেট দেশের এখন একটি বানিজ্যিক ইন্ডাস্ট্রি। বিসিবি এখন একটি স্বয়ং সম্পূর্ন এবং লাভজনক সংগঠন। বাংলাদেশে যেখানে টাকার মচ্ছব সেখানে স্বেচ্ছাচারিতা দুর্নীতিরও সৃষ্টি হয়। ক্যাসিনো কান্ড শনাক্ত হবার পর জানা গেলো বিসিবির একজন পরিচালক লোকমানও এর নেপথ্যের কুশীলবদের অন্যতম। ক্যাসিনো কান্ডে যখন যে যেখানে চিহ্নিত হয়েছে গ্রেফতার হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বিসিবির লোকমানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারন বিসিবির সভাপতি প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে বলেছেন লোকমান তার বন্ধু। দোষ চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেবেননা। এই বিসিবির অনেক ভালোর পাশাপাশি এর চলতি কর্তৃ্ত্বের স্বেচ্ছাচারী চেহারাটি লোকমানের ঘটনায় তা প্রকাশিত হয়েছে। খেলোয়াড় বিদ্রোহে এর চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে। প্রশ্ন ওঠে বিসিবি বসের সঙ্গে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ব্যক্তিগত পর্যায়ের সম্পর্ক থাকা স্বত্ত্বেও তারা তাকে এড়িয়ে চললো কেনো?

এমনকি জাতীয় দলের খেলোয়াড়ররা তাদের দীর্ঘদিনের গাইড-বন্ধু-অভিভাবক এবং ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে এড়িয়ে যাওয়া নিয়েও বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। মাশরাফি সরকারি দলের এমপি হবার পর তাঁর সঙ্গে কী খেলোয়াড়দের সঙ্গে কোন দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে? না খেলোয়াড়রা ভাবতে শুরু করেছে মাশরাফি আর বেশিদিন খেলার সঙ্গে বেশিদিন নেই? আবার মাশরাফি বিষয়টি একেবারেই জানতেননা এমনও নয়। কারন একাধিক খেলোয়াড় দিনের বেশিরভাগ সময় তাঁর সঙ্গেই থাকেন। কিন্তু নেতৃত্বের পর্যায় থেকে তাঁকে না জানানোয় হয়তো তিনি এরসঙ্গে নিজের থেকে জড়াতে চাননি। তবে পরে এক ফেসবুক পোষ্টে তিনি আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষনা করেন। ভারত সিরিজ যেটি বাংলাদেশের বিপুল অপেক্ষা-প্রত্যাশার সেই সফরের আগ মূহুর্তে এই ক্রিকেট বিদ্রোহ অনেককে হতবিহবলও করে।

আবার খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসার আগেই বিসিবি বস নাজমুল হাসানের সংবাদ সম্মেলন সৃষ্টি করে নতুন জটিলতার। দাবি দাওয়ার প্রশ্নে ক্রিকেটারদের আন্দোলন-বিদ্রোহ বিশ্বে নতুন নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে যেহেতু অর্থনীতি জড়িত তাই ক্রিকেটারদের আন্দোলন সমূহের সঙ্গেও অর্থনৈতিক দাবি দাওয়া সম্পর্কিত। কিন্তু বিসিবি বস বলে বসেন এর পিছনে দেশের ক্রিকেটকে ধংসের ষড়যন্ত্র জড়িত! কোন ক্রিকেটারের জন্যে তিনি কখন কি করেছেন এসব তাদের অনুপস্থিতিতে মিডিয়ার সামনে বলে তিনি তাঁর রূচির ঘাটতি প্রকাশ করেন। কেনো ক্রিকেটাররা তাদের ফোন ধরছেনা এটা তাদের প্রতি অনাস্থা কীনা সেটিও এড়িয়ে যান বোর্ড সভাপতি। ক্রিকেটারদের এই দেয়া হয়েছে সেই দেয়া হয়েছে এসব এমনভাবে বলার চেষ্টা করেন যেন টাকাগুলো তাঁর অথবা সরকারের! এসব টাকা যে ক্রিকেটারদের খেলার সূত্রে আইসিসি থেকে আসে, খেলা-বিজ্ঞাপনের আয় থেকে আসে, এ বিষয়টিও কোথাও একটা শব্দ বা বাক্যেও বলা হয়না! দেশের মানুষের হিরোদের এভাবে ভিলেন বানানোর চেষ্টা মানুষ পছন্দ করেনি। এই সুযোগে বোর্ড পরিচালকদের নানান মচ্ছব বেরিয়ে এসেছে। বিদেশ গেলে প্রতিদিন ক্রিকেটাররা পায় ৫০ ডলার আর বোর্ড কর্তারা পায় ৫০০ ডলার! আন্দোলন দীর্ঘায়িত হলে হয়তো এমন আরও অনেক কিছু বেরুতো।

এখন ক্রিকেটারদের বিদ্রোহ-আন্দোলনের অপরিপক্ক স্বরূপের প্রসঙ্গে আছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এ ধরনের আন্দোলনের বিষয়ে অনভ্যস্ততা থেকেই এটা হয়েছে। একজন আইনজীবী যখন দৃশ্যপটে আসেন তখন দাবি দাওয়া একটি সুলিখিত রূপ পায়। ১১ দফা তখন ১৩ দফা হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। নতুন দফায় ক্রিকেট বোর্ডের লভ্যাংশের হিস্যা ও নারী ক্রিকেটারদের মর্যাদাসুলভ পারিশ্রমিক ও সুযোগ-সুবিধা চাওয়া হয়। দেশের নারী ক্রিকেটাররা খুবই অনুল্লেখ্য পরিমান পারিশ্রমিক পান। পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়দের সমান পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে মার্কিন আদালতে এখন একটি মামলা চলছে। ক্রিকেটারদের আন্দোলনের যে দিকটি প্রচার মাধ্যমে আসেনি তাহলো,  জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা নাজুক একটি অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে দিন গুজরান করেন। এক ভেন্যু থেকে আরেক ভেন্যুতে যেতে আগে ক্রিকেটারদের দেয়া হতো এক হাজার টাকা। সেটি এখন আড়াই হাজার টাকা দেয়া হয়। বিসিবি বস তাচ্ছিল্যের সুরে বলেন আগে যখন এক হাজার টাকা দিতাম তখনতো আন্দোলন হয়নি! এখনতো আড়াই হাজার টাকা দেই! এক হাজার বা আড়াই হাজার টাকা হাতে নিয়ে বোর্ডের কোন পরিচালক কী ঢাকা থেকে বাসে চট্টগ্রাম বা সিলেট যাবেন? না এই টাকায় তাদের সকালের নাস্তা হয়?

আর্থিক কারনে বাংলাদেশে কেউ আম্পায়ারিংকে পেশা হিসাবে নিতে পারেনা। গ্রাউন্ডসম্যানদের বেতন মাসে ১২ হাজার টাকা! আর বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত ক্লাবের সদস্য! প্রায় শোনা যায় বিসিবি এই ফেডারেশন সেই ফেডারেশনকে এত টাকা অত টাকা অনুদান দিচ্ছে! আর ক্রিকেটের নিজের ঘরের অন্ধকার দিকটি এই আন্দোলনের আগে এভাবে দেশের মানুষ জানতে পারেনি। বিসিবির লভ্যাংশ যেটি চাওয়া হয়েছে তা যাবে ক্রিকেটারদের ওয়েলফেয়ারে। ইনজুরি সহ নানা কারনে তারা খেলতে পারেননা তাদের অনেকে খেলা থেকে হারিয়ে যান তাদেরকে ওয়েলফেয়ার তহবিল থেকে সহায়তা দেয়া হবে। মূলধারা থেকে খসে যাওয়া খেলোয়াড়দের চিকিৎসা খরচ-পেনশন ভাতা দেয়া হবে এই তহবিল থেকে। এসব খাতে বিসিবি মাঝে মাঝে অমুককে অমুককে টাকা দেয়। কিন্তু এটির কোন অবকাঠামোগত অবস্থান নেই।

ক্রিকেটারদের দাবি দাওয়া পূরন হলে জাতীয় দলের বাইরে থাকা খেলোয়াড়রা বেশি উপকৃত হবে। এর দেখভাল ফলোআপের জন্য দরকার কোয়াব নামের অথর্ব-অকার্যকর সংগঠনটিকে কার্যকর করা। আট বছর আগে গঠিত সংগঠনটির কর্মকর্তারা এখন কেউ বিসিবির পরিচালক কেউ কর্মচারী। বিসিবির পেটের ভিতর ঢুকে যাওয়া সংগঠনটি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টে এখন আর খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব করেনা। এই আন্দোলন যে বিশৃংখলভাবে আকস্মিক বজ্রপাতের মতো সবার সামনে এসেছে এর বড় একটি কারনও ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সক্রিয় শক্তিশালী সংগঠনের অভাব। সংগঠন শক্তিশালী থাকলে আন্দোলন এভাবে শুরুও হতোনা শেষও হতোনা। বিসিবি বস সংবাদ সম্মেলনে সাকিব-মুশফিকদের কটাক্ষ করেছেন। এটি অভিভাবকসুলভ হয়নি। অভদ্রতাও হয়েছে। সে তুলনায় সাকিব-মুশফিকরা অনেক ভদ্র বলেই এসবের জবাব দিতে যায়নি। তবে এই বিসিবি বসকে প্রতিহিংসা পরায়ন হিসাবেই ওয়াকিফহালরা জানেন। সাকিব-মুশফিকরা আগামীতে তার প্রতিহিংসার শিকারও হতে পারেন। কাজেই এই আন্দোলন এখন স্থগিত হলেও এই রেষ দ্রুত চলে যাবে এটি মনে করাটা ঠিক হবেনা।

ক্রিকেটার বিদ্রোহকে বিসিবি বস ষড়যন্ত্র বলতে চেয়েছেন। আমার কাছে মনে এটি বিসিবির কাঠামোগত নানান দমবদ্ধ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরন। একটি নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকলে গড়ে ওঠা কোটারি স্বার্থের দাপটে এমন একটি পরিবেশ পরিস্থিতি গড়ে উঠতেই পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিসিবির অর্থায়নে নানান উন্নয়ন কাজকর্ম হচ্ছে। এসব ঠিকাদারী কাজকর্ম কারা পাচ্ছ-কাজকর্ম মানসম্মত হচ্ছে কীনা এসব দেখভাল কে করছে? এর কারনে ক্রিকেটারদের আন্দোলন যে ঝাঁকুনি দিয়েছে তা পর্যবেক্ষনের উদ্যোগ নিতে পারে দুদক অথবা সংসদীয় কমিটির মতো কোন প্রতিষ্ঠান। এমন পর্যবেক্ষন-শুনানি হলে সংগঠন হিসাবে বিসিবিও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী হবে। উপকৃত হবে ক্রিকেট ও ক্রিকেটাররা, যারা বাংলাদেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। একটি ন্যায় ভিত্তিক আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখবেননা। জাতীয় হিরোদের যে বা যারা জোর করে ভিলেন করতে চাইবে দিনশেষে ভিলেন তারাই হবে। দেশের মানুষের ভালোবাসা টাকায় বা ষড়যন্ত্রে পাওয়া যায়না। ফাঁকি দেয়া যায় না মানুষের চোখকেও।

ফজলুল বারী