বাংলাদেশের আদলে সিডনি প্রবাসী হিন্দু সম্প্রদায়ের বাঙ্গালীরা গত ১৮ ও ১৯ অক্টোবর সাড়ম্বরে তিনটি স্থানে (গ্রানভিল, তেলোপেয়া ও কোগ্রাতে) উদযাপন করেন দুর্গা পূজা, ২০১৫।
উমা থেকে পার্বতি। তারপর পার্বতি থেকে দুর্গা। এই নামেই তিনি বেশী পরিচিত। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরানে আছে তিনি গিরিরাজ হিমালয়ের কণ্যা ও পর্বতের অধিষ্ঠাত্রী দেবী, তাই তিনি পার্বতি । পরের অধ্যায়ে তিনি হয়ে উঠেন দানব দলনী দশভুজা। আর তখনিই তার নাম হয় দুর্গা।
দুর্গাপূজার সঠিক সময় হলো বসন্তকাল কিন্তু বিপাকে পড়ে রামচন্দ্র, রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি বসন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে শরতেই দেবিকে অসময়ে জাগ্রত করে পূজা করেন। সেই থেকে অকাল বোধন হওয়া স্বত্ত্যে¡ও শরত কালে দুর্গাপূজা প্রচলিত হয়ে যায় ।
এই দুর্গাপূজা বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব।
দুর্গা শব্দের অর্থ হলো ব্যূহ বা আবদ্ব স্থান । যা কিছু দুঃখ কষ্ট মানুষকে আবদ্ধ করে, যেমন বাধাবিগ্ন , ভয় দুঃখ, শোক ,জ্বালা ,যন্ত্রনা এসব থেকে তিনি ভক্তকে রক্ষা করেন। শাস্ত্রকাররা দুর্গার নামে অন্য একটি অর্থ করেছেন । দুঃখের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাঁকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন।
ঢাক -ঢোল কাঁসা এবং শংকের আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিডনির বিভিন্ন মন্ডপ। এছাড়াও দুর্গা পূজার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এই অনুষ্ঠান হিন্দু সম্প্রদায়ের পাসাপাসি অন্যান্য ধর্মের প্রবাসী বাঙ্গালীদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। এরপর শুরু হয় প্রসাদ বিতরণ। সবার সুখ সমৃদ্ধি দেশ ও দশের মঙ্গলকামনা করে শেষ হয় শ্রী শ্রী দুর্গা পূজা।