“নুরু, পুশি, আয়েশা, শফি সবাই এসেছে
আম বাগিচার তলায় যেন তারা হেসেছে” – গোলাম মোস্তফা।
কবি গোলাম মোস্তফার বনভোজন কবিতার মতই বুয়েট এলামনাই অস্ট্রেলিয়ার আয়োজনে, ২০শে মে ২০১৭ টেম্পির রবিন ওয়েব স্টার রির্জাভে প্রায় দুই শতাধিক এলামনাইবৃন্দ এবং তাদের পরিবার পরিজনের অংশগ্রহণে সম্পন্ন হল বুয়েট এলামনাই অস্ট্রেলিয়ার বাৎসরিক বনভোজন ২০১৭।
দুপুর ১২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই বনভোজনের সময়টা ছিল সকলের কাছে উৎসবমুখর. নিবন্ধন শেষে শিশুদের জন্য খেলা দিয়ে শুরু হয় আনন্দ পর্ব। সপ্তাহে পাঁচ দিন স্কুলের রুটিনে আবদ্ধ থেকে হাপিয়ে ওঠা বাচ্চাদের জন্য এটা ছিল একটা নির্ভাবনায় নিঃশ্বাস নেয়ার প্রয়াস। বড়দের জন্যও ছিল খেলার আয়োজন। উপস্থিত মহিলা অভ্যাগতদের জন্য আয়োজিত খেলার মাধ্যমে যেন ক্ষণিকের জন্য তারাও তাদের শৈশবের দিনগুলোতে ফিরে যেতে পেরেছিল। খেলা থেকে বাদ পড়েননি পুরুষ অতিথিরাও। এইসব খেলা এবং প্রতিযোগিতা ছিল অতিথিদের জন্য এক নির্মল বিনোদোনের উৎস।
হিমালয় রেস্তোরাঁর সরবরাহে তন্দুরি চিকেন, নান রুটি, ভাত, খাসির রেজালা, ডাল, সালাদ, রাইতা এবং সবশেষে পরিবেশন করা হয় মিষ্টি। গল্প, আড্ডা, খেলাধুলা আর গানের সাথে অপরাহ্নে ছিল চা-নাস্তার ব্যাবস্থা।
বুয়েটিয়ান আর তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনোদনের মাত্রাকে পূর্ণতা দেয়ার জন্য আরো আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের যেখানে গান পরিবেশন করেন বুয়েটিয়ান মাশফিকুর রহমান, তাইমুর রহমান লিমন, এবং নিশাত সিদ্দিক ও তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
পরিশেষে বর্তমান কার্যকরি কমিটির সভাপতি কেয়া আলী এবং সাধারণ সম্পাদক নিশাত সিদ্দিক সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য প্রদান করেন। উনাদের বক্তব্যে আরো বেশি বুয়েটিয়ানদের সংগঠিত করার এবং অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য স্টেটে কার্যক্রম বাড়ানোর বিষয়টি উঠে আসে। প্রত্যেক ব্যাচ থেকে একজন করে প্রতিনিধি ঠিক করার বিষয়েও ঐকমত্য হন সকলে।
উপস্থিত বুয়েট এলামনাইদের মধ্যে ছিলেন ১ম কমিটির সভাপতি মির্জা মনিরুল হাসান, ২য় কমিটির সভাপতি জুলহাস ভূঁইয়া। এবং আরো উপস্থিত ছিলেন ৩য় কমিটির সভাপতি এবং বুয়েট এলামনাই এর প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদা রুনু। পুরো বনভোজনের ফটোগ্রাফির দায়িত্বে ছিলেন ইয়াসির আরাফাত আর খাবার সরবরাহে ছিল হিমালয় রেস্টুরেন্ট। বুয়েট এলামনাই অস্ট্রেলিয়া প্রথমবারের মত অনলাইনে টিকিটের ব্যাবস্থা করে ট্রেন্ডি আইডিয়াস এর সাথে। বনভোজন অনুষ্ঠানের স্পন্সর সহযোগি ছিলেন “সিডনী পার্লামেন্ট হাউস পোষ্ট অফিস” এবং “ডিজাইন এন ড্রাফটিং সার্ভিসেস”।