সাঁতার কেটে হাঙর থেকে কিভাবে রক্ষা পেলেন এক ব্রিটিশ ডাইভার?

সাঁতার কেটে হাঙর থেকে কিভাবে রক্ষা পেলেন এক ব্রিটিশ ডাইভার?

একটি উদ্ধারকারী জাহাজে স্ত্রীর সাথে মিলিত হওয়ার পর।

ব্রিটিশ ডাইভিং প্রশিক্ষক জন ক্রেইগ এক বন্ধুকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।

ফিরে এসে জানালেন তিনি সেখানে একটি ১৩ ফিট লম্বা ভয়ঙ্কর হাঙরের মুখোমুখি হয়েছিলেন।

তিনি বলছিলেন, “আমি ভাবছিলাম আমি আজই শেষ। এটাই বোধ হয় আমার শেষ দিন। এভাবেই বোধহয় আমার মৃত্যু হবে।”

সমুদ্রে সাড়ে সাত কিলোমিটারের বিশাল পথ সাঁতার কেটে তবেই তার হাত থেকে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি।

জন ক্রেইগ গিয়েছিলেন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়াতে স্পিয়ার ফিশিং করতে।

যা হলো পানির নিচে বর্শা ছুড়ে মাছ গেঁথে ফেলার মাধ্যমে শিকার।

তিনি এর প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন।

পানির নিচে থেকে মাথা তুলে দেখলেন নৌকাসহ তার বন্ধু হঠাৎ গায়েব হয়ে গেছেন।

এমন সময় দেখতে পেলেন তার দিকে আসছে একটি টাইগার শার্ক।

সমুদ্রে ঐ এলাকাটির নামও শার্ক বে। হাঙরটি জন ক্রেইগকে ঘিরে চার পাশে সাঁতার কাটতে শুরু করলো।

সেটির দিকে এক পর্যায়ে বর্শা তাক করলেন ক্রেইগ।

কিন্তু কতক্ষণ আর সেভাবে ভেসে থাকবেন?

হঠাৎ বহু দূরে দিগন্তে এক চিলতে কিছু একটা দেখতে পেলেন।

যা আসলে ছিল প্রাণীদের জন্য একটি সংরক্ষিত এলাকার তীর।

এক পর্যায়ে সেই তীরের দিকে সাঁতার কাটতে শুরু করলেন ক্রেইগ।

হাঙরটিও তাঁকে ‘অনুসরণ’ করছিলো বলে জানালেন ক্রেইগ।

পরে জানতে পেরেছেন জায়গাটি সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে।

সেখানে পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে তিন ঘন্টা।

হাঙরের খাবার হিসেবে শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যু হয়নি।

নৌকাসহ তার বন্ধু গায়েব হয়ে যাওয়ার কারণ ছিলো নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিলো।

শক্তিশালী স্রোত তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলো। ( বিবিসি বাংলা)