কাজী সুলতানা শিমিঃ এসো বিজয় উল্লাসে মাতি”-এই শ্লোগান নিয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলা মেলা নামে একটি বিজয় মেলা আয়োজিত হতে যাচ্ছে সিডনীর ওয়লী পার্কের সবুজ চত্ত্বরে। এ উপলক্ষে গত ১১ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় সিডনির ইঙ্গেলবার্নের একটি ফাংশন সেন্টারে আমরা বাংলাদেশী” সংগঠনটি আসছে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘মিউচুয়াল হোমস বাংলা মেলা’কে সামনে রেখে এক মতবিনিময় ও প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে।
আয়োজক কমিটি জানান, আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটিকে আরও শক্তিশালী করে অষ্ট্রেলিয়ার বৃহত্তর সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখতে সহায়তা করা। সেইসাথে প্রজন্মকে শেখানো যে, ঘৃণা নয় ভালবাসা, বিভেদ নয় বরং সম্প্রীতি, এই হোক আমাদের বিজয় প্রত্যয়। আগামী ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৭ অনুষ্ঠিতব্য এবারের “মিচুয়াল হোমস্ বাংলা মেলায়” আমরা বাংলাদেশী গানে গানে ছড়িয়ে দিবে বিজয়ের কথা, বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের কথা।
তারা আরও জানান, ‘আমাদের এবারের মেলার শিরোনাম পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠান মিউচুয়াল হোমস। তাই এ বছর মেলার নাম “মিউচুয়াল হোমস বাংলা মেলা’।তারা আরও জানান ‘বিজয়ের এই মাসের ইতিহাস, প্রবাসে শিশু-কিশোরদের দেশীয় সংস্কৃতি চর্চায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি অন্যান্য সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করতে এবং বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে আমাদের এই প্রচেষ্টা’।
অনুষ্ঠান শুরুর পর মেলা, সংগঠন পরিচিতির পর মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক মিউচুয়াল হোমসের পরিচালক এনাম হক তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলা মেলা সিডনী প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি অন্যতম বিজয় মেলা। পাশাপাশি বিজয় উৎসব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের এক মিলন মেলা। মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে আমাদের প্রতিষ্ঠান এই মেলার প্রধান এবং একমাত্র পৃষ্ঠপোষক হতে পেরে আনন্দিত’।
পরবর্তীতে মত বিনিময় সভায় আলোচকগণ মেলার বিগত বছরগুলোর সাফল্যের প্রশংসার পাশাপাশি নুতন প্রজন্মকে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ, মেধাবি শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান সহ কৃষ্টি ও সংস্কৃতির উপর জোর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, বাংলা মেলা সিডনী প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি বিজয় মেলা, একটি বিজয় উৎসব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের এক মিলন মেলা। তারা মহান বিজয়ের মাসে প্রতি বছর মেলার আয়োজন করে আসছে। প্রবাসী সকলের অংশগ্রহণে মেলাকে আরও সুন্দর ও সফল করার লক্ষ্যে এই মতবিনিময় সভায় সিডনি প্রবাসী বাংলাদেশী কম্যুউনিটির নেতৃবৃন্দ, শিল্পপতি, সাংবাদিক, কাউন্সিলর, শিক্ষক, শিল্পী, সংগঠক ও সমাজের বিশিষ্ট জনেরা অংশগ্রহন করে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মিউচুয়াল হোমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবেদ হক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।নৈশভোজের পর অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।