সিডনীর মিন্টুতে অজ-মায়া ফ্যাশনের ওপেন হাউজ এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত

সিডনীর মিন্টুতে অজ-মায়া ফ্যাশনের ওপেন হাউজ এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত

 

গত ১ ডিসেম্বর শনিবার এবং ২ ডিসেম্বর রবিবার দুইদিনব্যাপী প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত সিডনীর মিন্টু এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অজ-মায়া ফ্যাশনের ওপেন হাউজ এক্সিবিশন এবং ক্লিয়ারেন্স সেলস উৎসব। অজ-মায়া ফ্যাশন মূলত মেয়েদের বিভিন্ন ধরণের কাপড় ও ফ্যাশন এক্সেসরিজ বিক্রি করে থাকে। ওপেন হাউজ এক্সিবিশন উপলক্ষে সিডনীর বিভিন্ন সাবার্ব থেকে মূলত বাংলাদেশী সহ অন্যান্য দেশের প্রবাসী ক্রেতারা এখানে সপরিবারে উপস্থিত হয়েছিলেন।

দেশ থেকে হাজার মাইল দূরের প্রবাসে যারা দেশীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া বহন করতে চান কিংবা বিভিন্ন সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় ও মনোমুগ্ধকর কাপড় পড়তে চান তাদের জন্য অজ-মায়া ফ্যাশন মোট আটটি দেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের প্রডাক্ট নিয়ে আসে। বাংলাদেশ, তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা বিভিন্ন ধরণের কাপড়ের মধ্যে আছে কুরতি, টপস, পালাযযো, স্কার্ফ, হিজাব, সালওয়ার কামিয, থ্রি পিসেস, বোরক্বা, আবায়া, লং ড্রেস, প্রেয়ার সেট, প্রেয়ার হিজাব, ব্রোচ, কাফতান এবং অন্যান্য পোশাক ও ফ্যাশন এক্সেসরিজ। পুরো অষ্ট্রেলিয়ায় ১০ ডলারের ফ্ল্যাটরেটেড ডেলিভারী খরচ সহ তাদের ফেসবুক স্টোর (www.facebook.com/ausmayafashion)থেকে কিংবা এর স্বত্বাধিকারীর সাথে 0433296883 নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমেও ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন জিনিস কেনার সুযোগ আছে। সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত মিন্টুতে এর শোরুম ক্রেতাদের জন্য খোলা থাকে। রবিবার কিংবা অন্য সময়েও পূর্বনির্ধারিত এপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে তাদের আসার সুযোগ আছে।

এই ওপেন হাউজ এক্সিবিশন এবং ক্লিয়ারেন্স সেলস উৎসবে কয়েকটি নতুন প্রডাক্টের উদ্বোধন এবং সুলভ মূল্যছাড়ের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পরিচিত হওয়ার উদ্দেশ্যই ছিলো মূখ্য। বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ক্রেতা, দর্শক ও শুভাকাঙ্খীদের ভীড় এবং সতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ এ উদ্দেশ্যকে সফল ও সার্থক করে তুলেছে। প্রথমবারের মতো এ ধরণের আয়োজন সফল করতে সব ধরণের সহযোগিতার জন্য অজ-মায়ার স্বত্তাধিকারী ফারজানা পাড়-আঁচল শাড়ির স্বত্তাধিকারী সৃষ্টি এবং মডেস্ট কালেকশনের স্বত্তাধিকারী ইসমত আরার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশী নারী উদ্যোক্তাদের এ ধরণের আরো বেশি বেশি আয়োজন তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগের সফলতার জন্য এবং দেশী-বিদেশী বৈচিত্রময় উপাদানের প্রচলন ও ব্যবহারের মাধ্যমে বহুমাত্রিক সংস্কৃতির এ দেশে সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।