মাশরাফি টেস্ট খেলার উপযুক্ত : ডেভিড ইয়াং

মাশরাফি টেস্ট খেলার উপযুক্ত : ডেভিড ইয়াং

যদি ক্রিকেট দলের প্রয়োজন হয় তবে মাশরাফি বিন মর্তুজা টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক ডেভিড ইয়াং।

বুধবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে বিসিবির চিকিৎসক ও ফিজিওথেরাপিস্টদের সঙ্গে কর্মশালা করেন এই অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক। কর্মশালা শেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ওয়ানডে স্কোয়াডের ক্রিকেটারদের সাক্ষর সম্বলিত একটি ব্যাট উপহার দেয়া হয় এই চিকিৎসককে।

ডেভিড ইয়ং একজন মেলবোর্ন ভিত্তিক অর্থোপেডিক সার্জন। মাশরাফি বিন মর্তুজা মোট ৬ বার এই চিকিৎসকের কাছে অস্ত্রোপচার করান।

বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়কের প্রশংসা করেন ডেভিড ইয়ং।

তার মতে বারবার ইনজুরিতে পড়ার পরেও মাশরাফির ফিরে আসার পেছনে তার নিজের চেষ্টাটাই বড় ছিল। মাশরাফি খুবই পেশাদার। সে তার দেশ ও ক্রিকেটের প্রতি অনুগত বলে মনে করেন মি: ইয়ং।

তার ভাষ্যে, “আমি এটা খুশিমনেই বলছি যে তার সেরে ওঠার ক্ষেত্রে আমার অবদান সামান্য। পুরো পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার কৃতিত্ব মাশরাফির।”

তিনি বলেন, “ক্যারিয়ারে অল্প সময়ের জন্য হলেও আমি ছিলাম। ওর যে বিষয়টা আমার ভালো লাগে সেটা হলো মানুষ হিসেবে সে অসাধারণ এবং তার হৃদয়টা অনেক বড়। সে একজন দাতাও যে তার আশপাশের মানুষ, দল এমনকি দেশ নিয়েও ভাবে।”

মাশরাফিকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের একজন বিশেষ দূত আখ্যা দেন মি: ইয়ং।

৩৪ বছর বয়সী মাশরাফি সম্পর্কে রোমাঞ্চকর এক তথ্য দিলেন তার চিকিৎসক, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শল্যবিদ ডেভিড ইয়াং। বললেন আবার টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারবেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’।

মাশরাফি টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ডেভিড ইয়ং দলের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, “প্রতিটি দলেরই একজন নেতা প্রয়োজন। যিনি শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, সবসময়ই একজন নেতার ভূমিকা পালন করবেন। সে তার দলের প্রয়োজনে অবশ্যই টেস্ট খেলবে।”

তার মতে, মাশরাফিকে সেরা খেলোয়াড় হতে হবে কিংবা সুপারস্টার হতে হবে বিষয়টি এমন না।

মাশরাফি বিন মর্তুজা ডেভিড ইয়ংকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন অদৃশ্য বন্ধু বলে মনে করেন।

২০১১ সালে শেষবার অস্ত্রোপচার করার পর মাশরাফিকে আর বড় কোনো ইনজুরিতে পড়তে হয়নি।

তিনি বলেন, “এখন অবস্থা এমন হয়েছে, হাঁটু বা এই ধরণের কোনো সমস্যায় পড়লে অন্য কারো কাছে যেতে অস্বস্তিবোধ করি। শুধু আমি না আমাদের অনেক ক্রিকেটারই এই ধরণের সমস্যায় তার কাছেই যায়।” (বিবিসি)