অনলাইন ডেস্কঃ ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৪৫ রান। অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ৩২ ও হোবার্টে প্রথম টেস্টে দ্বিশতক করা অ্যাডাম ভোজেস ১০ রানে ব্যাট করছেন।
শনিবার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। টি-টোয়েন্টি মেজাজে শুরু করা ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে যান পঞ্চম ওভারেই। ১২ বলে ২৩ রান করতে পাঁচটি চার হাঁকান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
এমসিজি ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার আর সব টেস্ট ভেন্যুতে শতক আছে ওয়ার্নারের। মেলবোর্নে তিন অঙ্কে পৌঁছতে মরিয়া এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ভালো প্রস্তুতির জন্য খেলেননি বিগ ব্যাশেও। কিন্তু ওয়ার্নারকে ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়েই।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে শতক পাওয়া খাওয়াজাকে দলে ফেরাতে অস্ট্রেলিয়াকে বাদ দিতে হয়েছে হোবার্ট টেস্টে ১৮২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা শন মার্শকে। বাদ পড়তে পারতেন বার্নসও; কিন্তু ওয়ার্নারের সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটির সাফল্যই বাঁচিয়ে দেয় তাকে।
আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিয়েছেন বার্নস ও খাওয়াজা। ২৯ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর দুজনের ২৫৮ রানের জুটি প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে ভালো ভিত গড়ে দেয়।
শেষ পর্যন্ত ১২৮ রান করে ক্রেইগ ব্রেথওয়েটের বলে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান বার্নস। তার ২৩০ বলের ইনিংসটি সাজানো ১৬টি চার ও একটি ছক্কায়। এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট শতক।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এক মাস মাঠের বাইরে থাকা খাওয়াজা ফেরার ম্যাচে বিগ ব্যাশে করেন শতক। এমসিজিতে শুরুতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন না বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে স্বরূপে ফেরেন তিনি।
জেরোম টেইলরের বলে দিনেশ রামদিনকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ২২৭ বলে ১৪৪ রানের চমৎকার ইনিংস, যা সাজানো ৬টি চার ও একটি ছক্কায়।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের খুব একটা পরীক্ষায়ও ফেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। পেসার টেইলর দুই উইকেট নেন ৮৩ রানে।
হোবার্টে একপেশে লড়াইয়ের প্রভাব পড়েছে মেলবোর্নে। ১৯৯৯ সালের পর বক্সিং ডেতে (বড়দিনের পরদিন) সবচেয়ে কম দর্শক ছিল এমিসিজিতে। ( সুত্রঃবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)