একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অস্ট্রেলিয়া শাখা International Forum for Secular Bangladesh  (সেকুলার বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া চ্যাপ্টার) এর আলোচনা সভা গত ২২শে নভেম্বর সিডনীর স্থানীয় সময় রাত ৮ টায় অনলাইন জুম দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারন সম্পাদক ফয়সাল মতিন এর সঞ্চালনায় এবং সভাপতি ডাঃএকরাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায়  সদস্যগন কমিটির কর্মকাণ্ডের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।অনুষ্ঠানে  অন্যান্য নেতৃবিদের মধ্যে হাসান  ফারুক রবিন, জুয়েল তালুকদার, সাজ্জাদ সিদ্দিক, ডেভিড বালা, হারুনউর রশীদ,  তানভীর কেনেডি এবং মাহবুব শাহরিয়ার বক্তব্য রাখেন।

সভায় চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ঢাকাসহ সারা দেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনে বাধাপ্রদান এবং স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার ভয়ঙ্কর হুমকিতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।  সভায় বক্তারা  স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যে ভাষায়  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি বিষোদগার করেছে  তার তীব্র নিন্দা জানান এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতাতূল্য অপরাধ হলেও  সাম্প্রদায়িক অপশক্তির এহেন রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে  সরকাররের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

সভায় বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন যে  সৌদি আরব, মিশরসহ  মুসলিমপ্রধান  সকল দেশেই ভাস্কর্য আছে, যা নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ইতিহাসের মহানায়কদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের স্মারক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার প্রাণকেন্দ্রে হিন্দু পৌরাণিক চরিত্রের ভাস্কর্য রয়েছে, যেগুলোকে পৌত্তলিকতা বা মূর্তি আখ্যায়িত করে অপসারণের ধৃষ্টতা কখনও সে দেশের কট্টরপন্থীরা প্রদর্শন করেনি। বাংলাদেশে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এবং কখনও প্রশ্রয়ের কারণে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তাতে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’র ঘোষণা অচিরেই প্রহসনে পরিণত হবে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে বাধা দিচ্ছে এবং ইতিমধ্যে স্থাপিত ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দিয়েছে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে দেশ ও জাতির জন্য সমূহ বিপর্যয় আশঙ্কা ব্যক্ত করেন।সভায় বক্তারা  মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর ’৭২-এর সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানান এবং  মহান  বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয় যা অচিরেই  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।