বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এই পৃথিবী খুব দ্রুতই পরিণত হবে একটি প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে।”

বিশেষজ্ঞ বলেছেন, “এই পৃথিবী খুব দ্রুতই পরিণত হবে একটি প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে।”

প্লাস্টিকের অধিক উৎপাদন এবং খোলা প্রকৃতিতে এর দ্রুত ছড়িয়ে পড়া বাড়ছে আশংকাজনক হারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত উৎপাদিত প্লাস্টিকের পরিমাণ ৮.৩ বিলিয়ন টন। আর তাদের হিসেবে ২০৫০ সাল নাগাদ প্লাস্টিকের পরিমাণ দাঁড়াবে ১২ বিলিয়ন টন।

কোনোই সন্দেহ নেই যে প্লাস্টিক একটি অতি আশ্চর্য উপাদান।

আর এই বিশাল পরিমাণ উৎপাদিত প্লাস্টিকের প্রায় ৭৯ শতাংশই ছড়িয়ে পড়েছে খোলা প্রকৃতিতে। প্লাস্টিক বর্জ্যে দিনে দিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।

ড. রোল্যান্ড গেয়ার নামের এক বিশেষজ্ঞ বিবিসিকে বলেছেন, “এই পৃথিবী খুব দ্রুতই পরিণত হবে একটি প্লাস্টিকের তৈরি গ্রহে। আর যদি আমরা এমনটা না চাই, তাহলে বিশেষ করে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিস ব্যবহারে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে” বলেই তাঁর মত।

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোলজিস্ট প্লাস্টিকের উৎপাদন এবং ব্যবহার ও দূষণ সম্পর্কে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।

আর তাতে দেখা যাচ্ছে যে, এই বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক পণ্যের অন্তত অর্ধেক উৎপাদন হয়েছে গত ১৩ বছরে।

বাতিল প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার হয়েছে শতকরা মাত্র ৯ভাগ। ১২শতাংশকে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে আর বাকিটা ছড়িয়ে পড়েছে প্রকৃতিতে। আশংকাজনক হারে ছড়িয়েছে সাগর মহাসাগরে। গবেষণা দেখা গেছে যে, ২০১৪ সালে রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য হার ইউরোপে ছিল শতকরা ৩০ভাগ। সবচেয়ে কম রিসাইক্লিং হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, মাত্র ৯ শতাংশ। আর এই অধিকহারে উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫০ এর সময় থেকে।

যেহেতু প্লাস্টিক পণ্য পচনশীল নয়, তাই বিশেষজ্ঞদের মতে এটিকে অত্যন্ত তাপ প্রয়োগ করে নি:শেষ করে দেয়া দরকার।

কিন্তু তারচেয়েও বেশী জরুরি প্লাস্টিকের সঠিক প্রয়োজন নিরুপণ করে তারপর এর উৎপাদনে যাওয়া। আর এর জন্যে দরকার একটি সমন্বিত আলোচনা। ( বিবিসি)