যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে সিডনীতে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদ্যাপিত হয়েছে। ২৬শে মার্চ প্রত্যুষে সিডনীস্থ বাংলাদেশ হাউস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন সিডনীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের উন্নয়ন ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি করা হয়।
পরবর্তীতে ২৮শে মার্চ তারিখে কনস্যুলেট সিডনীর প্রাণকেন্দ্রে নিউ সাউথ ওয়েলস পার্লামেন্টের মূল ফাংশন রুমে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলস এর পার্লামেন্ট এর স্পীকার জনাথন ও’ডেয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম, স্পীকার জনাথন ও’ডেয়া, সংশোধন মন্ত্রী ড. জিওফ লি, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ক্রিস মিনস ও মাল্টিকালচারাল এনএসডব্লিউ এর নির্বাহী প্রধান জোসেফ লা পোস্টা। বিশেষ অতিথিরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তর সহ ব্যবসা, শিক্ষা, মিডিয়া, পেশাজীবীদের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট সদস্যরা অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
কনসাল জেনারেল তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের অসামান্য আত্মত্যাগের জন্য তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রার সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনসহ নানান ক্ষেত্রে অবদান রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ককে দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখার জন্য তিনি নিউ সাউথ ওয়েলস ও কুইন্সল্যান্ড এ বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রশংসা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পীকার বাংলাদেশের সকলকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক উত্তরোত্তর জোরদার হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিডনীস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কর্তৃক আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের এই আয়োজনে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সংসদ সদস্য, বর্তমান ও সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলরসহ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ, উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তা, মিশন প্রধান ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ, মিডিয়াকর্মী, শিক্ষা ও গবেষণা খাতের প্রতিনিধিরা, এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিপুল সংখ্যক অতিথি।
নৃত্য, সরোদ ও বাঁশীর পরিবেশনার মাধ্যমে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি টানা হয়।
(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)