ফুলবাড়ীয়ায় সেলিমা বেগম সালমার ২২৫ তম উঠান বৈঠক

ফুলবাড়ীয়ায় সেলিমা বেগম সালমার ২২৫ তম উঠান বৈঠক

সিডনিবেঙ্গলিজডট কমের কর্ণধার সেলিমা বেগম সালমা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ধর্মী উদ্যোগ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বিগত ৭ মাস ধরে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায় ( ১৫১ ময়মনসিংহ -৬) প্রতিটি গ্রামের মানুষের সাথে ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ স্থাপন করার উদ্যোগ নেয় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে। দেশের ৫০% ভোটার নারী। তাই তিনি শুরু করেন গ্রামের নারীদের নিয়ে উঠানে উঠানে ঘুরে ঘুরে বৈঠক।

আজ ছিল মরহুম আব্দুল খালেক তালুকদার বাড়িতে ( হুরবাড়ী , ৯ নং ওয়ার্ড ,কালাদহ ইউনিয়ান) ২২৫ তম উঠান বৈঠক। আর উঠান বৈঠকে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন তালুকদার , ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি গোলাম কাউইম তালুকদার শোঃ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সেলিমা ফুলবাড়িয়ার মানুষের স্বাস্থ্য , শিক্ষা ,পারিবারিক প্রয়োজন ও নিত্য জীবনের আবশ্যক বিষয়াদি নিয়ে গত অক্টোবর ২০২২ সাল থেকে উঠান বৈঠক শুরু করেন । প্রতিটি উঠান বৈঠকে তিনি তুলে ধরেন জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যার বিগত ১৪ বছরের উন্নয়নের কথা। তিনি তুলে ধরেন কিভাবে বাংলার মানুষ সুবিধা পেয়েছে সেই উন্নয়নের। নারীদের প্রাথমিক থেকে উচ্চ্ মাধ্যমিক অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা, সমস্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের বছরের শুরুতে বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ , প্রতিটি অভিভাবক শিক্ষা বৃত্তি বাবদ সরাসরি অনুদান পাচ্ছেন সরাসরি বিকাশের মাধ্যমে, স্কুলের বাচ্চাদের ফ্রি টিফিন , উন্নত দেশের মতো বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ১০০ ভাগ গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া এবং গ্রামের রাস্তায় রাস্তায় সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া , আজ পাড়াগাঁয়ের মানুষের ঘরে ঘরে ইন্টারনেট ,স্মার্ট মোবাইল ফোনের প্রযুক্তির সেবা নিশ্চিত করা , শহর থেকে গ্রামে প্রতিটি সড়ক , কালভার্ট , ব্রিজ তৌরি করা , রাস্তা পাকা করে।

এছাড়াও তিনি তুলে ধরেন শেখ হাসিনার সরকারের নানাবিধ আধুনিক উন্নয়নের কথা, তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা অর্জন পদ্মা সেতু , আধুনিক এয়ারপোর্ট বানানোর কথা , সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট উন্নয়নের কথা , রাজধানী ঢাকার সড়ক , ফ্লাই ওভার ,মেট্রো রেলের কথা, ডিজিটাল বাংলাদেশ , আধুনিক ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার কথা , ন্যাশনাল আই ডি এবং ই-পাসপোর্টের কথা ।

বাল্য বিবাহ রোধ ও নারী শিক্ষা আজ পাড়াগাঁয়ে পৌঁছাতে পারলে জাতি উন্নতি হবে। পশ্চাত্যে নারীরা সমানে সমানে পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে শুধু শিক্ষার জন্য। শিক্ষা পেলে কাজ মাইল এবং স্বনির্ভর হওয়া যায়। পশ্চিমের দেশের মতো বাংলাদেশ এখন অনেক কিছুতেই আর পিছিনে নেই। বাংলাদেশ পশ্চাত্যে মতো উন্নত দেশে পরিণত হতে শুধু সময়ের প্রয়োজন। তিনি আরও তুলে ধরেন , উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আবারও দরকার।

সেলিমা বেগম সালমা নম্বইয়ের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের প্রথম সারির একজন নেত্রী , শামসুন নাহার হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেলিমার বাবা জনাব মোসলেম উদ্দিন ১৯৭০ সালের গণ পরিষদের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন এবং ফুলবাড়ীয়া থেকে ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সেলিমা বেগম ১৯৯১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে বাবাকে সশরীরে সব ধরণের সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন। ২০১৮ সালে বাবা মোসলেম উদ্দিন এর নির্বাচনী কার্যক্রমে টানা ৩০ দিন প্রতিদিন গড়ে ৪ টি উঠান করে সারা ফুলবাড়িয়া তথা বাংলাদেশে সারা ফেলে দিয়েছিলেন সেলিমা বেগম।