বাংলাদেশের প্রথম এভারেস্টজয়ী মুসা ইব্রাহীম পাপুয়া নিউগিনির সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট কার্সটেঞ্জ পিরামিড জয় করতে গিয়ে আটকা পড়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। গত শনিবার তাদের খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেখানে খাবার পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবারের ‘ফুড রিজার্ভ লো’ বলে বার্তা পাঠালেও গতকাল শনিবার পর্যন্ত খাবার পৌঁছেনি।
মুসার বোন নূর আয়েশার বরাত দিয়ে গতকাল শনিবার রাতে এ বিষয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশে কর্মরত মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আবদুল মান্নান জানান, ওশেনিয়া (পাপুয়া নিউগিনি, ইন্দোনেশিয়া) মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট কার্সটেঞ্জ পিরামিড জয় করার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের তিন সদস্যের টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মূসা ইব্রাহীম। মাউন্ট কার্সটেঞ্জ জয় করতে গিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ায় বেস ক্যাম্পে অটকা পড়ে আছেন তিনদিন ধরে। খাবার সংকটে ভুগছে পুরো টিম।
তিনি আরও লিখেছেন, আজ সকালে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার কথা থাকলেও আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। পরে কী ঘটতে যাচ্ছে তাও জানা নেই তার। ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ এম্বাসেডরের সহায়তা চেয়েছেন তিনি। সেখান থেকে তাকে জানানো হয়েছে আগামী সোমবার পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে তারা যোগাযোগ করবেন।
ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায় কি না সেটিই আমার বড় আশঙ্কা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জরুরি সহযোগিতা দরকার এই পর্বতারোহীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
অভিযানে মুসার সঙ্গে রয়েছেন ভারতের এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত ও নন্দিতা চন্দ্রশেখর। মোট তিনজনের পর্বতারোহী দলের নেতা মুসা ইব্রাহীম।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে সোমবার ইন্দোনেশিয়ার বালির উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন মুসা। বাংলাদেশের কৃষিখাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান নীলসাগর গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় মুসা ইব্রাহীমের এবারের অভিযানের নাম হচ্ছে ‘নীলসাগর গ্রুপ মাউন্ট কার্সটেঞ্জ পিরামিড অভিযান। ’ ইন্দোনেশিয়ার নাবিরে থেকে পাঁচ থেকে ছয় দিন ট্রেকিং শেষে অভিযাত্রীরা ১৬ হাজার ২৩ ফুট উঁচু মাউন্ট কার্সটেঞ্জ পিরামিড চূড়া জয় করার কথা রয়েছে। গত ৬ জুন ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছিলেন মুসা। (সূত্র: কালের কণ্ঠ)