সিডনিতে গল্প আড্ডা নামে একটি নতুন সংগঠন

সিডনিতে গল্প আড্ডা নামে একটি নতুন সংগঠন

গত ২১ শে ফেব্রুয়ারি সিডনির ওয়ালী পার্কে গড়ে উঠে সিডনির মেয়েদের নিয়ে একটি নতুন সংগঠন ‘গল্প আড্ডা’ ।সংগঠনটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সিডনিস্থ মেয়েদের বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক ইস্যুতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার দূঢ় প্রত্যয় নিয়ে সামাজিক ভাবে সচেতন কয়েকজন মিলে। প্রথম দিনের আয়োজনে ছিল গল্প বলা, রান্না বাড়া, গান এবং কবিতা। সংসারের কত গল্প আছে মেয়েদের স্বামী, সন্তান, রান্না, ফ্যাশান, সিনেমা, নাটক, ম্যাগাজিন, গল্পের বই, পড়াশুনা। সেই সাথে যুক্ত হয়েছিল সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যু। আজ মেয়েরা সংসারের নানাবিধ ব্যস্ততার মাঝে মনেযোগী হচ্ছেন পেশাগত উন্নয়নে, জড়িত থাকছেন সাংগঠনিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে। “গল্প আড্ডা”য় মেয়েরা সংসারের সবাইকে নিয়ে গড়ে তুলতে চান সুন্দর একটি সংগঠন যেখানে থাকবে নিজেদের জীবনের সব গল্প। সেই সাথে থাকবে সমাজিক প্রয়োজনে পরিবারের সকলকে নিয়ে সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকায় দৃঢ প্রত্যয় এবং সবাইকে নিয়ে মিলে ভালো থাকার প্রয়াশ।

শুরুতে মাসিক একটি সামাজিক আড্ডার মধ্যে আলোচনা ও পরিকল্পনা করা হবে পারিপার্শ্বিক মেয়েদের দৈনন্দিন সমস্যাগুলো মূলতঃ সামাজিক, আর্থিক ও মানসিক সমস্যাগুলোই প্রাধান্য পাবে বিষয়ভিত্তিক আড্ডাতে এবং সেই সাথে কিভাবে দ্রুত সমস্যা গুলো সমাধান করা যায় সে বিষয়ে যাবতীয় পথ নির্দেশনা থাকবে। গল্প আড্ডা” র আনুষ্ঠানিকতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েন্ডি লিন্ডসে এম পি ( ইস্ট হিলস), অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ হাই কমিশনের কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম, ফিলিপ মাডিরাজ্জা (কাউন্সিলর, ক্যান্টাবুরি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিল) , মোহাম্মদ নাজমুল হুদা (কাউন্সিলর, ক্যান্টাবুরি ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিল) ,প্রাক্তন কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু ও আমিনুল রুবেল (সময় টিভির সিডনি প্রতিনিধি )।

ওয়েন্ডি লিন্ডসে বলেন, ” মেয়েদেরকে এগিয়ে আসতে হবে প্রতিটি কার্যক্রমে সুন্দর একটি অস্ট্রেলিয়া গড়তে এবং মেয়েদের এই সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডে সহায়তার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। ”
সংগঠনটিতে প্রাথমিকভাবে যুক্ত হন সেলিমা বেগম , সাজেদা আক্তার সানজিদা , মাহমুদা রহমান , ফারজানা ডল , শায়লা টিংকু , শারমিন তুবা ,উর্মি জান্নাতুল ফেরদৌস , সেলিনা আখতার জুঁই , ফারহানা আখতার , ইশরাত জাহান এবং আখতার শারমিন দিলশাদ।
চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশে পরিবেশে এই আয়োজনটির মধ্যাহ্নভোজে ছিল নিজেদের তৈরী রকমারী পিঠাপুলী, হরেক রকমের মিষ্টান্ন, নানা পদের ভর্তা, ভুনা খিচুরীর সাথে নানান রকম বাঙালি খাবারের আয়োজন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল দেশীয় স্টাইলের চা পর্ব।