অস্ট্রেলিয়া আসছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফা

অস্ট্রেলিয়া আসছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আবৃত্তি শিল্পী শিমুল মুস্তাফা

বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় শিল্পী শিমুল মুস্তাফা আগামী মার্চের ১৪ তারিখ আবারও আসছেন অস্ট্রেলিয়াতে ।
তিনি কবিতায়নের আয়োজনে “শব্দরা কথা বলে” স্লোগানে মেলবোর্নের ক্লাইটন কমিউনিটি সেন্টারে আগামী ১৭ই মার্চ ও ১৮ই মার্চ দুটি আবৃত্তি সন্ধ্যার উপহার দিবেন। পরবর্তীতে সিডনি বাঙালী কমিউনিটির আমন্ত্রণে ২৪ শে মার্চ সন্ধ্যায় ইঙ্গেলবার্ন কমিউনিটি হলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করবেন ।

কবিতা’র বিকেলের সাথে ২৫ শে মার্চ কোয়েকার্স হিল নেইভারহুড সেন্টার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাট ১০ টা।

এছাড়াও ২৬শে মার্চ শিশু-কিশোরদের নিয়ে একটি একটি কর্মশালায় অংশ নিবেন।

গত বছর এপ্রিল মাসে তিনি অস্ট্রেলিয়া ক্যানবেরা, এডিলাইড ও ব্রিসবেনে আবৃত্তি সন্ধ্যায় অংশগ্রহন করেন।

উল্লেখ্য যে,তিনি সিডনিতে এসেছিলেন বটে কিন্তু ভিসার নিয়ম ভেঙে কোনো আউটডোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেননি। তাই সিডনিতে পারিবারিক ভাবে এক ঘরোয়া সন্ধ্যায় সময় কাটান। ভক্তদের কথা দিয়ে যান যে তিনি আবার সিডনিতে আসবেন আবৃত্তি করতে। কথা রাখতেই  এবার সিডনিতে আসছেন।

আবৃত্তি শিল্পী  হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পেছনে কেন উনার  নামটি  প্রথম দিকেই, তা বুঝতে কারো বেশী সময় লাগেনি।  এ যাবত  সব মিলিয়ে  তাঁর ৪১টি এ্যালবাম বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

এই প্রথিতযশা শিল্পী অসংখ্য একক অনুষ্ঠান করে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন ।এই শিল্পীর ঝুড়িতে তাই কবিতার সংখ্যা যে অগণনতা  তা বলা যায় সহজেই। কিছু কিছু কবিতার আবৃত্তি এতাটাই জনপ্রিয় যে মূল কবির বদলে সেটি শিমুল মুস্তাফার কবিতা হয়ে উঠেছে।

তিনি শুধু একজন শিল্পীই নন একজন সংগঠক, প্রশিক্ষক। ঢাকা শহরে জন্মেছেন, এই শহরেই তাঁর বেড়ে ওঠা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে জীবিকানির্বাহের তাগিদে নিজেকে যুক্ত করেছেন ব্যবসার সাথে। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে আবার তিনি একজন পারিবারিক মানুষও।

আবৃত্তি তার পেশা নয়, নেশা। আশির দশকের গোড়ার দিক থেকেই জড়িয়ে পড়েন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। কন্ঠে আওয়াজ তোলেন। তার ভয়হীন কন্ঠ আজও ভয়হীন। একজন দূরন্ত, দুর্নিবার এবং চির আপোষহীন মানুষ শিমুল মুস্তাফা ।

শিমুল মুস্তাফা প্রতি বছর বিজয়ের মাসে  ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে একাত্তর স্মরণে ৭১টি কবিতা আবৃত্তি করেন  এবং তার এই কবিতার  পাঠ শেষে  ১৯৭১টি মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এই কবিতার আসরে বাংলাদেশের  হাজার হাজার  মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে অংশগ্রহন করে  থাকে।